কোহলি পছন্দের কোচ পেলে, হরমনপ্রীত কেন পাওয়ারকে বেছে নিতে পারবেন না? প্রশ্ন তুললেন ডায়না
বিরাট যখন কোচ বদলের জন্য বোর্ড সিইওকে ঘন ঘন এসএমএস করতেন তখন কী হয়েছিল। আমি তো প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম তখন।
নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের কোচ হওয়ার জন্য পুনরায় আবেদন জানিয়েছেন রমেশ পাওয়ার। আর তাতেই ফের একবার পাওয়ারকে কোচ করার জন্য জোরালো সওয়াল করলেন কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের সদস্য ডায়না এডুলজি। বিরাট কোহলির পছন্দ মতো যদি রবি শাস্ত্রীকে কোচ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে, তবে কেন হরমনপ্রীতের দাবিকে গুরুত্ব দেওয়া হবে না। এই প্রশ্ন তুলে সিওএ প্রধান বিনোদ রাইকে চিঠি দিলেন ডায়না।
এদিকে মিতালি, হরমনপ্রীতদের কোচ বেছে নেওয়ার জন্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড কপিল দেব, অংশুমান গায়কোয়াড এবং শান্তা রঙ্গস্বামী -তিন সদস্যের অ্যাড-হক কমিটি নিয়োগ করেছে। আগামী ২০ ডিসেম্বর মুম্বইয়ে বিসিসিআই-এর সদর দফতরে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের কোচ হওয়ার জন্য যাঁরা আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা পরীক্ষায় বসবেন।
আরও পড়ুন - রমেশ পাওয়ারকেই কোচ হিসেবে চান হরমনপ্রীত-স্মৃতিরা, চিঠি দিয়ে জানালেন বোর্ডকে
ঘটনার সূত্রপাত, ওয়েস্ট ইন্ডিজে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। কোচের কাছে হেনস্থা এবং সেমি ফাইনালে তাঁকে বাদ দেওয়া নিয়ে বোর্ডকে বিস্ফোরক চিঠি লেখেন মিতালি রাজ। মিতালির বিরুদ্ধে পাল্টা তোপ দাগেন কোচ রমেশ পাওয়ারও। সব কিছু জেনেও কোচের পাশেই দাঁড়ান সিওএ-র অন্যতম সদস্য ডায়না এডুলজি।
এরপর রমেশ পাওয়ারকেই কোচ হিসেবে রেখে দেওয়ার জন্য বোর্ডকে চিঠি দেন ভারতীয় মহিলা টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর এবং সহ অধিনায়ক স্মৃতি মন্ধানা। কিন্তু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষ হতেই ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে রমেশ পাওয়ারের মেয়াদ ৩০ নভেম্বরই শেষ হয়ে যায়। ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের নতুন কোচের জন্য নোটিসও দেয় বোর্ড।
আরও পড়ুন - মিতালি-হরমনপ্রীতদের কোচ বেছে নেবেন কপিল দেবরা
এরপর ডায়না এডুলজি কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের প্রধান বিনোদ রাইকে চিঠি দিয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান ও বিসিসিআই সিইও রাহুল জোহরির বিরুদ্ধে নিয়মভঙ্গে অভিযোগ তোলেন। সেই চিঠিতে তিনি লিখেছেন, " আমি মহিলা ক্রিকেট দলের কোচ নিয়োগ নিয়ে অধিনায়কের চিঠি বা ই-মেলে কোনও ভুল দেখতে পাচ্ছি না। ওরা (হরমনপ্রীত ও স্মৃতি) তো নিজেদের মতামত জানিয়েছে মাত্র। বিরাট যখন কোচ বদলের জন্য বোর্ড সিইওকে ঘন ঘন এসএমএস করতেন তখন কী হয়েছিল। আমি তো প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম তখন। কুম্বলের মতো লেজেন্ডকে কোচের পদ থেকে সরে যেতে হয়। রবি শাস্ত্রীকে কোচ করা হয় বিরাটের কথা মেনে। সেখানে সৌরভ-সচিন-লক্ষ্মণের উপদেষ্টা কমিটির ভূমিকা ছিল নিমিত্ত মাত্র। বোর্ডের সিইও নিয়ম ভেঙেছেন। আমি তখনই এর প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম।"
আরও পড়ুন - রমেশ পাওয়ারের অভিযোগের পাল্টা জবাব মিতালি রাজের
তিনি আরও বলেন, " বিরাট কোনওভাবেই কোচ হিসেবে চান নি অনিল কুম্বলেকে। এমনকী টিম ইন্ডিয়ার কোচের জন্য প্রথমে রবি শাস্ত্রী তো আবেদনও জানান নি। তখন বোর্ড আবেদন জানানোর তারিখ আরও কয়েকদিন বাড়িয়ে দেন। রবি শাস্ত্রী তখন আবেদন জানান। আর তার পরেই কোচ হয়ে যান রবি শাস্ত্রী। ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের কোচ নিয়োগের জন্য যে অ্যাড-হক কমিটি গঠন করেছেন বিনোদ রাই, সেটাও তাঁর নিজের সিদ্ধান্ত। এবিষয়ে তাঁর সঙ্গেও আলোচনা করেন নি রাই। আমার মনে হয় ক্রিকেট অ্যাডভাইসরি কমিটিকেই এই দায়িত্ব দেওয়া উচিত ছিল।"