Ranji Trophy 2022-23: চোটে জর্জরিত বাংলা, ঈশান-প্রীতমের আগুনে বোলিংয়ের পরেও টপ অর্ডারদের ব্যাটিং ব্যর্থতা
উইকেট ভিজে থাকার জন্য প্রথম দিন মাত্র ৩৫ ওভার খেলা হয়েছিল। ওডিশা ৯৬ রানে ২ উইকেট তুলেছিল। সেখান থেকে পাশের রাজ্যের দল বাকি ৬৩ ওভারে ১৬৯ রান তুলতে গিয়ে বাকি ৮ উইকেট হারায়।
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ইডেন গার্ডেন্সের (Eden Gardens) বাইশ গজের বিতর্ক সরিয়ে ফের স্বমহিমায় বঙ্গব্রিগেড। যদিও কাঁটার মতো বিঁধছে একাধিক চোট-আঘাত। ফলে চলতি রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy 2022-23) নক আউটের আগে দলের চাপ বাড়ল। তবে বাংলা (Bengal) দলে একাধিক চোটের ইস্যু থাকলেও, বোলাররা কিন্তু দারুণ পারফর্ম করেছেন। তবে ব্যাটারদের ক্ষেত্রে সেটা লেখা যায় না। গত ম্যাচে হরিয়ানার (Haryana) বিরুদ্ধে সাত পয়েন্ট পেয়েছে বাংলা। ফলে আগেই নক আউটে চলে গিয়েছে মনোজ তিওয়ারির (Manoj Tiwary) দল। তবুও ব্যাটারদের ভরাডুবি কমল না। ওডিশার প্রথম ইনিংস ২৬৫ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পরেও, দ্বিতীয় দিনের বাংলার স্কোরবোর্ডে উঠল ২ উইকেটে ৩৯ রান। ফলে এখনও ২২৬ রানে পিছিয়ে রয়েছে বাংলা। এরমধ্যে যোগ হয়েছে দলে একাধিক চোট। সেটা নিয়ে বেশ চিন্তায় বঙ্গ টিম ম্যানেজমেন্ট।
মুকেশ কুমার (Mukesh Kumar), শাহবাজ আহমেদরা (Shahbaz Ahmed) জাতীয় দলে। এরমধ্যে মাথায় চোট পেলেন পেসার আকাশ দীপ (Akash Deep)। তাঁর জায়গায় 'কনকাশন সাব' নিতে হল। পরিবর্তে নামেন আর এক পেসার গীত পুরি (Geet Puri)। এছাড়াও জোড়া চোট। অভিষেককারী অলরাউন্ডার আকাশ ঘটক (Akash Ghatak) চোটের তালিকায় নাম লেখালেন। তবে বাংলা শিবিরে বড় চিন্তা হল অনুষ্টুপ মজুমদারের (Anustup Majumdar) চোট। ওডিশার অধিনায়ক শুভ্রাংশু সেনাপতির (Subhransu Senapati) কভার ড্রাইভ আটকাতে যান অনুষ্টুপ। হঠাৎই লাফিয়ে ওঠা বলে আঙুলে চোট পান। হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা। বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা দিনের খেলার শেষে বলেছেন, "অনুষ্টুপের স্ক্যানের রিপোর্টে গুরুতর চোট ধরা পড়েনি। চোটের জায়গা ফোলা এবং ব্যাথাও রয়েছে। ব্যাটিং করবেন অনুষ্টুপ। তবে নিজের পজিশনে নয়, নীচের দিকে ব্যাট করবেন।"
আরও পড়ুন: Suryakumar Yadav: 'স্কাই' ছুঁয়ে টি-টোয়েন্টির সিংহাসনে সূর্য কুমার যাদব
আরও পড়ুন: WIPL 2023: দল পেল না কলকাতা! মহিলা আইপিএলে সবচেয়ে দামি দল কিনল আদানি, বোর্ডের লাভ কত?
এদিকে উইকেট ভিজে থাকার জন্য প্রথম দিন মাত্র ৩৫ ওভার খেলা হয়েছিল। ওডিশা ৯৬ রানে ২ উইকেট তুলেছিল। সেখান থেকে পাশের রাজ্যের দল বাকি ৬৩ ওভারে ১৬৯ রান তুলতে গিয়ে বাকি ৮ উইকেট হারায়। দুই জোরে বোলার প্রীতম চক্রবর্তী ও ঈশান পোড়েল দাপট দেখান। দু'জনেই তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন। আকাশ ঘটক নিলেন দুই উইকেট।
২০১৫-১৬ মরসুমের পর ফের বাংলা দলে কামব্যাক করেছিলেন প্রীতম। উত্তর প্রদেশের বিরুদ্ধে দুই ইনিংসে (৩/৬৩, ২/৪৮) নিয়েছিলেন ১১১ রানে ৫ উইকেট। মুকেশ কুমার জাতীয় দলে চলে যাওয়ার জন্য, এর আগে মাত্র তিনটি রঞ্জি খেলা প্রীতমের ভাগ্য খুলে যায়। এবং চেনা ইডেনে নিজেকে ফের মেলে ধরেন এই ডানহাতি জোরে বোলার। নিলেন ৫৯ রানে ৩ উইকেট।
অন্যদিকে চলতি মরসুমে ভালো ফর্মে রয়েছেন ঈশান। তিনি এবারও বাইশ গজে আগুনে বোলিং করলেন। নিলেন ৬৭ রানে ৩ উইকেট। নবাগত আকাশের ঝুলিতে এসেছে ৫১ রানে ২ উইকেট। আকাশ দীপ ও গীত পুরী নিয়েছেন ১টি করে উইকেট। তবে বোলারদের সাফল্যের দিনেও ফের একবার ডোবাল দলের দুই টপ অর্ডার ব্যাটার। করণ লাল বিপক্ষের অভিজ্ঞ পেসার বসন্ত মোহান্তির বলে ফিরে যান। ফলে ১২ রানে ১ উইকেট হারায় বাংলা। এরপর আউট হন হিমাচল প্রদেশ ও নাগাল্যান্ডের বিরুদ্ধে শতরান করা সুদীপ ঘরামি। ৩০ রানে ২ উইকেট চলে যাওয়ার পর, বাকি সময় ক্রিজে কাটিয়েছেন অভিমন্যু ইশ্বরণ ও নাইট ওয়াচম্যান প্রীতম। চোট-আঘাত ভুলে এখন এই নিয়মরক্ষার ম্যাচে বাংলা লিড নিতে পারে কিনা সেটাই দেখার।