দুঃসংবাদ! চলে গেলেন সচিন তেণ্ডুলকরের ছোটবেলার কোচ রমাকান্ত আচরেকর
সচিনের জীবনের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে তিনি আদর্শ গুরুর মতোই হাজির ছিলেন ছাত্রের পাশে।
![দুঃসংবাদ! চলে গেলেন সচিন তেণ্ডুলকরের ছোটবেলার কোচ রমাকান্ত আচরেকর দুঃসংবাদ! চলে গেলেন সচিন তেণ্ডুলকরের ছোটবেলার কোচ রমাকান্ত আচরেকর](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2019/01/02/166977-sachin.gif)
নিজস্ব প্রতিনিধি : বছরের শুরুতেই ভারতীয় ক্রিকেটে বিষাদের সুর। চলে গেলেন সচিন তেণ্ডুলকরের ছোটবেলার কোচ রমাকান্ত আচরেকর। ৮৭ বছর বয়সে জীবনাবসান হল তাঁর। মুম্বই ক্রিকেটে যেন একটা অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটল।
সচিন তেণ্ডলকর ছাড়াও বিনোদ কাম্বলি, অজিত আগরকর, বলবিন্দর সিং সান্ধু, সঞ্জয় বাঙ্গারের মতো ভারতীয় ক্রিকেটের নক্ষত্রদের ছোটবেলার কোচ ছিলেন তিনি। এছাড়াও মুম্বইয়ের দাদরে শিবাজি পার্কে তাঁর কোচিংয়ে একাধিক প্রথম সারির ক্রিকেটার উঠে এসেছেন। দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। গত কয়েকদিন ধরে তাঁর শারীরীক অবস্থার অবনতি হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত নতুন বছরের শুরুতেই চলে গেলেন আচরেকর। বুধবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ নিজের বাড়িতেই জীবনাবসান হয় এই প্রবাদপ্রতিম ক্রিকেট কোচের।
আরও পড়ুন- বছরের শুরুতেই দিল্লি-জয় বাংলার, রনজিতে নক-আউটের সুযোগ জিইয়ে রাখলেন মনোজ-দিন্দারা
সচিনের জীবনের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে তিনি আদর্শ গুরুর মতোই হাজির ছিলেন ছাত্রের পাশে। সচিনের জীবনের শেষ টেস্ট হোক বা আত্মজীবনী প্রকাশ, গুরু আচরেকর অসুস্থতা সত্ত্বেও সচিনের পাশে থেকেছেন বরাবর। এমন গুরুর চলে যাওয়া স্বাভাবিকভাবেই সচিনের জীবনে বড় শূন্যস্থান তৈরি করে দিয়ে গেল। ১৯৩২ সালে জন্মগ্রহণ করা আচরেকরের হাতে গড়া সচিন তেণ্ডুলকরের বিশ্ব ক্রিকেটের মহীরুহ হয়েছেন। সচিন কখনও গুরুর প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপনে কার্পণ্য করেননি। প্রতি বছর শিক্ষক দিবসে নিয়ম করে হাজির হয়েছেন গুরুর বাড়িতে। ১৯৯০ সালে দ্রোনাচার্য পুরস্কারে ভূষিত হন আচরেকর। ক্রীড়াক্ষেত্রে অনস্বীকার্য অবদানের জন্য ২০১০ সালে পদ্মশ্রী সম্মানও পান।
আরও পড়ুন- সিডনি টেস্টে নেই ইশান্ত, দলে রাহুল, অশ্বিনকে ঘিরে ধোঁয়াশা, দুই স্পিনার খেলানোর ভাবনা বিরাটের
একাধিকবার একাধিক সাক্ষাতকারে সচিন স্বীকার করেছেন, গুরু আচরেকরই তাঁকে নিয়ম-নিষ্ঠা ভরে ক্রিকেটের পুজো করা শিখিয়েছেন। আচরেকরের দৌলতেই তিনি এতটা শৃঙ্খলাপরায়ণ হতে পেরেছেন। বেশ কয়েক বছর আগে সচিনের দাদা অজিত তেণ্ডুলকর জানিয়েছিলেন, আচরেকরের পরামর্শেই ব্যাটিং অর্ডারে চার নম্বর জায়গা ধরে রেখেছিলেন সচিন। মুম্বইয়ের বিভিন্ন জায়গায় সচিনকে নিজের স্কুটারে চাপিয়ে ম্যাচ খেলাতে নিয়ে যেতেন আচরেকর। সচিন তেণ্ডুলকরের মধ্যে ভবিষ্যতের তারকা হয়ে ওঠার সম্ভাবনা সর্বপ্রথম আচরেকরই দেখতে পেয়েছিলেন।