শ্রীনির মাস্টারস্ট্রোকে কাত বিরোধীরা, তাঁদের রোষানলে অরুণ জেটলি
মরু শহর কাতারে ২০১২ ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজনে, রাজনীতিবিদদের চাপের কাছে নতি স্বীকার ফিফার। এই বিতর্কিত মন্তব্য করে আগুনে ঘি ঢাললেন খোদ ফিফা সভাপতি শেপ ব্লাটার। তাঁর অভিযোগ কাতারে বিশ্বকাপের আয়োজনের জন্য ফিফা সদস্যদের উপর চাপ দিয়েছিলেন ইউরোপিয়ান রাজনীতিবিদরা। তাঁদের কাতারের সঙ্গে আর্থিক স্বার্থ জড়িয়ে থাকার ফলে ফিফার সদস্যদের কাতারের পক্ষে ভোট দিতে বলা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ব্লাটার।
বোর্ড সভাপতি পদে নির্বাচনে শশাঙ্ক মনোহরের দাঁড়ানোর সম্ভাবনা বিলীন হয়ে যাওয়ার পিছনে সর্ষের মধ্যেই ভূত দেখছে বিরোধী গোষ্ঠি। তাদের সন্দেহের মূল তির অরুণ জেটলির দিকে। শশাঙ্ক মনোহরের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েও বিপদের সময়ে তাঁকে না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ বিরোধী গোষ্ঠির কর্তারা।
সুপ্রিম কোর্টের রায় যদি শ্রীনিবাসনের বিপক্ষে যায় তাহলেই একমাত্র তিনি বিসিসিআই এর কুর্সি হারাতে পারেন। নচেত শ্রীনিই যে ফের বোর্ডের তখতে বসতে চলেছেন তা প্রায় নিশ্চিত। শ্রীনির মাস্টার স্ট্রোকে বিরোধীদের পরিকল্পনা ভেস্তে যেতেই অরুণ জেটলি তাঁদের রোষে পড়েছেন।
এক বিরোধী কর্তা বলেন জেটলি শশাঙ্ক মনোহরের মত পরিচ্ছন্ন ব্যক্তিকে সভাপতি পদে প্রথম থেকে চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রয়োজনীয় সময়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। সেই কর্তার দাবি অরুণ জেটলি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকগুলি এড়িয়ে গিয়েছিলেন। আর তারপর বলেছিলেন তিনি রাজনৈতিক কারনে সামনে আসতে রাজি নন।
কিন্তু এরকম বিপদের সময়ে আইনি পরামর্শ চেয়েও যখন জেটলির কাছ থেকে পাওয়া গেল না তখন বিরোধীর পরিস্কার হয়ে যান তাঁদের মধ্য থেকেই অন্তর্ঘাত হয়েছে। এই মূহুর্তে বিরোধীদের সামনে শ্রীনিকে আটকানোর দুটি পথ খোলা আছে। এক শ্রীনি নিজে নির্বাচনে দাঁড়াবেন ঘোষণা করায় আদালত অবমাননার দায়ে পড়তে পারেন। দুই কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বিরোধীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।