Virender Sehwag: 'খেলতেই জানে না! ওকে আউট করা ছিল সবচেয়ে সহজ! বীরুকে অহেতুক স্লেজিং করলেন পাক পেসার
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বীরু বোলারদের সংহারক হিসেবে খ্যাত। কেরিয়ারে একাধিক বোলারকে দুরমুশ করেছেন টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন ওপেনার। টেস্ট ও একদিনের ফরম্যাটে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীরু-র পারফরম্যান্স বেশ ভালো।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সচিন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar) থেকে রাহুল দ্রাবিড় (Rahul Dravid)। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly) থেকে যুবরাজ সিং (Yuvraj Singh)। সবাই বীরেন্দ্র শেহওয়াগের (Virender Sehwag) মারমুখী ভাবমূর্তিতে এখনও মজে রয়েছেন। শুধু টিম ইন্ডিয়ার (Team India) প্রাক্তনরা নন, বিদেশী দলগুলোর একাধিক বোলারও 'নজফগড়ের নবাব' সম্পর্কে এখনও একইরকম শ্রদ্ধাশীল। তবে পাকিস্তানের (Pakistan) প্রাক্তন জোরে বোলার রানা নাভেদ-উল হাসান (Rana Naved ul Hasan) অবশ্য তেমনটা মনে করেন না। বরং তাঁর দাবি, শেহওয়াগ নাকি ব্যাট করতেই জানতেন না! তাই তাঁকে আউট করা সবচেয়ে সহজ ছিল! প্রাক্তন পাক পেসারের এমন বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হওয়ার পর, রানার উপর ক্ষোভে ফুঁসছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।
নাদির আলির পডকাস্টে রানা নাভেদ উল হাসান বলেছেন, "২০০৪-০৫ সিরিজের একটা ম্যাচের কথা মনে পড়ছে। বীরেন্দ্র শেহওয়াগ ৮৫ রানে ব্যাট করছিল। আমি প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলাম। আমরা সিরিজে ২-০-এ পিছিয়ে পড়েছিলাম। পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ছিল। সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে শেহওয়াগ বড় বড় শট মারছিল। ভারত ৩০০-র কাছাকাছি রান করে ফেলেছিল। সেই সময় শেহওয়াগ ৮৫ রান ক্রিজে ছিল। আমি ইনজি ভাইয়ের (পড়ুন, ইনজামাম উল হক) কাছ থেকে বল চেয়ে নিই। শেহওয়াগকে স্লো বাউন্সার দিয়েছিলাম। বীরু সেটা ডাক করেছিল।"
আরও পড়ুন: Lionel Messi | Inter Miami: 'আমেরিকার ১০ নম্বর'! অবশেষে ইন্টার মিয়ামি-তে লিওনেল মেসি
এরপর নাভেদ ফের যোগ করেছেন, "শেহওয়াগের দিকে এগিয়ে গিয়ে ওকে স্লেজিং করেছিলাম। বলেছিলাম কীভাবে খেলতে হয় তুমি জানো না। তুমি যদি পাকিস্তানে থাকতে তাহলে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতেই পারতে না। বীরুও আমাকে পালটা কিছু বলে। বোলিং লাইন আপে ফেরত যাওয়ার সময়ে ইনজি ভাইকে আমি বলি, পরের বলেই ওকে আউট করব। ইনজি ভাই অবাক হয়ে যায়। আমি স্লোয়ার দিই। শেহওয়াগ আমাকে মারার চেষ্টা করে আউট হয়ে যায়। ওই উইকেটটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ম্যাচটাও আমরা জিতেছিলাম।" যদিও নাভেদের বক্তব্যে সঠিক নয়। সেবার ১৫টি উইকেট নিয়ে নাভেদ প্লেয়ার অফ দ্য সিরিজ হয়েছিলেন। সিরিজটি ছয় ম্যাচের ছিল। পাঁচ ম্যাচের নয়। প্রথম দু’টি ম্যাচ হেরে গেলেও পাকিস্তান সিরিজ জিতেছিল ৪-২ ব্যবধানে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বীরু বোলারদের সংহারক হিসেবে খ্যাত। কেরিয়ারে একাধিক বোলারকে দুরমুশ করেছেন টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন ওপেনার। টেস্ট ও একদিনের ফরম্যাটে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীরু-র পারফরম্যান্স বেশ ভালো। ১০৩টি টেস্টের মধ্যে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলের বিরুদ্ধে খেলেছেন ৯টি ম্যাচ। ১৪টি ইনিংসে ১২৭৬ রান। গড় ৯১.১৪। স্ট্রাইক রেট ৮০.২০। সঙ্গে রয়েছে ৪টি শতরান ও ২টি অর্ধ শতরান। সর্বোচ্চ ২০০৪ সালে মুলতানের বাইশ গজে ৩৭৫ বলে ৩০৯ রান। এর পাশাপাশি ৫০ ওভারের ফরম্যাটেও পাক দলের বিরুদ্ধে সফল 'নজফগড়ের নবাব'। ৩১টি একদিনের ম্যাচে তাঁর রান ১০৭১। গড় ৩৪.৫৪। স্ট্রাইক রেট ১০২.৫৮। সঙ্গে রয়েছে ২টি শতরান ও ৬টি অর্ধ শতরান। সর্বোচ্চ ২০০৮ সালে করাচিতে ৯৫ বলে ১১৯ রান। তবুও শুধু সস্তার প্রচারের জন্য বীরুকে মাঠের বাইরে স্লেজিং করলেন নাভেদ।