মনে ক্ষত নিয়ে রাস্তার গর্ত বুজিয়ে দেন তিনি! বড় মনের মানুষের খোঁজ দিলেন লক্ষ্মণ
নতুন করে এই বড় মনের মানুষকে মনে করিয়ে দিলেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদন- প্রশাসন ঘুমোয়। তিনি জেগে থাকেন। রাস্তার একের পর এক গর্ত তিনি নিজের উদ্যোগে বুজিয়ে দেন। মুম্বইয়ের রাস্তায় গত কয়েক বছর ধরেই তিনি এই কাজটা করে আসছেন। মুম্বইসহ সারা দেশের বহু মানুষ তাঁকে চেনেন আগে থেকেই। তাঁর এমন উদ্যোগের ছবিও ভিডিয়ো এর আগেও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেই ব্যক্তির নাম দাদারাও বিলহোরে। মুম্বইয়ের রাস্তায় তিনি চেনামুখ। এর আগেও বহু মানুষ তাঁর এই মহৎ উদ্যোগের প্রচার করেছেন। তবে এই ব্যক্তি কখনোই প্রচারের জন্য এমন কাজ করেন না। তিনি মুম্বইয়ের রাস্তার গর্ত বুজিয়ে দেন মনের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য।
ভারতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার ভিভিএস লক্ষ্মণ আরো একবার দাদারাওয়ের ছবি টুইট করলেন। নতুন করে এই বড় মনের মানুষকে মনে করিয়ে দিলেন তিনি।
২০১৫ সালে একমাত্র ছেলেকে হারিয়েছিলেন দাদারাও। রাস্তায় গর্তের জন্য তার ১৬ বছরের ছেলে দুর্ঘটনার শিকার হয়। ছেলেকে হারানোর সেই কষ্ট এখনো বুকে নিয়ে ঘুরে বেড়ান এই মানুষটি। তারপর থেকেই নিজের উদ্যোগে রাস্তায় থাকা গর্ত বুঝিয়ে দেন তিনি। যাতে আর কোনো মা-বাবা তাদের সন্তানকে না হারান! দাদারাও এই কাজটি করেন সম্পূর্ণ নিজস্ব উদ্যোগে। এদিন লক্ষণ টুইট করে লেখেন, দাদারাো একমাত্র ছেলেকে হারিয়েছিলেন দুর্ঘটনায়। মুম্বইয়ের রাস্তায় গর্ত থাকার জন্যই তাঁর ছেলে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিল। একটা সময় ছেলেকে হারানোর শোকে তিনি ভেঙে পড়েছিলেন। তারপরই তিনি এই মহৎ উদ্যোগ নিতে শুরু করেন। সিমেন্ট, বালি, সুড়কি দিয়ে তিনি মুম্বইয়ের রাস্তার গর্ত বুজিয়ে চলেছেন দিনের পর দিন। তাঁর প্রশংসা করার জন্য কোনো শব্দই যথেষ্ট নয়।
আরও পড়ুন- সৌরভ গাঙ্গুলির বাড়িতে এবার করোনার হানা, ভাইরাসে আক্রান্ত প্রিয়জন
Dadarao Bilhore has been filling potholes in Mumbai ever since he lost his 16 yr old son to an accident caused by a pothole. Even as the grief was tearing him apart, armed with broken paver blocks, gravel, stones & shovel,he started filling every pothole he witnessed. No words pic.twitter.com/Ww5raEEV4P
— VVS Laxman (@VVSLaxman281) June 19, 2020
লক্ষণের এই টুইটের পরই অনেকে মুম্বইয়ের প্রশাসনের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। বহু মানুষ লিখেছেন, দাদারাওয়ের মতো মানুষদের এমন মহৎ উদ্যোগও প্রশাসনের ঘুম ভাঙাতে ব্যর্থ। যে কাজটা প্রশাসনের করা উচিত সেটা নিজের হাতে করে চলেছেন এই বড় মনের মানুষটি। প্রশাসন বরং ঘুমোক। দাদারাওয়ের মতো মানুষরাই না হয় সমাজের জন্য জেগে থাকুন!