সুপ্রিম কোর্ট বললে BCCI প্রেসিডেন্টের পদ ছেড়ে দেব, সাফ জানালেন সৌরভ
২২ জুলাই সুপ্রিম কোর্টে দেশের প্রধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোরদে ও বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাওয়ের ডিভিশন বেঞ্চ বোর্ডের আবেদন গ্রহণ করলেও দু সপ্তাহ পর মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডে প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলি আর সচিব জয় শাহের মেয়াদ বৃদ্ধি সংক্রান্ত মামলা ঝুলে রয়েছে দেশের শীর্ষ আদালতে। তবে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে কোনও রকম চ্যালেঞ্জ নয়! দেশের শীর্ষ আদালত বললে বিসিসিআই প্রেসিডেন্টের পদ ছেড়ে দেবেন বলেই জানালেন সৌরভ গাঙ্গুলি।
লোধা কমিটি সংস্কার অনুযায়ী, রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা বা বোর্ডে বা দুটো মিলিয়ে টানা ৬ বছর পদাধিকারী থাকলে তাঁকে বাধ্যতামূলকভাবে তিন বছরের জন্য কুলিং অফে যেতে হবে। বর্তমান বোর্ড সভাপতি আর সচিব দু'জনের ক্ষেত্রেই রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা আর বিসিসিআই মিলিয়ে পদাধিকারী পদে ৬ বছর হয়ে যাচ্ছে। বোর্ড সচিব হিসেবে জয় শাহের মেয়াদ শেষ হয়েছে ৭ মে। অন্যদিকে সৌরভের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২৭ জুলাই,২০২০।
২১ এপ্রিল বোর্ডের তরফ থেকে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয় যে ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে সৌরভদের যেন কুলিং অফে পাঠানো না হয়। বোর্ড সভাপতি আর সচিবের মেয়াদ যেন ২০২৫ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। ২২ জুলাই সুপ্রিম কোর্টে দেশের প্রধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোরদে ও বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাওয়ের ডিভিশন বেঞ্চ বোর্ডের আবেদন গ্রহণ করলেও দু সপ্তাহ পর মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়। দেশের শীর্ষ আদালতে বোর্ডের মামলার শুনানি ১৭ অগাস্ট হওয়ার কথা থাকলেও সেটি নির্দিষ্ট তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। সূত্র মারফত্ জানা গিয়েছে শীর্ষ আদালতের বক্তব্য, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের হাই প্রোফাইল আবেদনের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ মামলার নিষ্পত্তি হওয়া বাকি। তাই আপাতত ঝুলে রইল সৌরভ আর জয় শাহের ভবিষ্যৎ।
সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলি জানিয়েছেন, "আমরা আবেদন জানিয়েছি। দেখা যাক কী হয়। যদি আদালত আমাদের চলে যেতে বলে, তাহলে ওখানেই বিষয়টির নিষ্পত্তি হয়ে যাচ্ছে আমার আর জয়ের (শাহ) জন্য। " সঙ্গে সৌরভ আরও বলেন, "প্রত্যেকেরই আদালতে আবেদন করার সুযোগ রয়েছে। আমরা ভুল হতে পারি, ঠিক হতে পারি! ভালো-খারাপ যাই হোক না কেন দেশের শীর্ষ আদালতে যে কেউ আবেদন করতে পারেন। আদালত যদি পক্ষে রায় দেয় তাহলে তুমি থাকবে না হলে বেরিয়ে যেতে হবে। এতো একেবারে জলের মতো সোজা।"
আরও পড়ুন - 'ক্যাপ্টেন কুল' যখন টিম বাসের ড্রাইভার, গল্প শোনালেন লক্ষ্মণ