Anil Kumble লোভী! বিশেষ দিনে কেন এমন মন্তব্য করলেন Harbhajan Singh?
কোটলার বাইশগজে রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছিলেন কুম্বলে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ২৩ বছর আগের একটা ঐতিহাসিক ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে অনিল কুম্বলে-কে লোভী বলে দিলেন হরভজন সিং! তবে মজার ছলেই সিনিয়র সতীর্থের প্রতি এমন মন্তব্য করলেন ভাজ্জি। ১৯৯৯ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তৎকালীন ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামে এক ইনিংসে ১০ উইকেট নিয়েছিলেন জাম্বো। প্রবাদপ্রতিম জিম লেকরের পর দ্বিতীয় বোলার হিসেবে এক ইনিংসে ১০ উইকেট নেওয়ার নজির গড়েছিলেন এই প্রাক্তন লেগ স্পিনার। সেই টেস্ট ভাজ্জিও খেলেছিলেন। সঙ্গে ছিলেন জভাগল শ্রীনাথ, ভেঙ্কটেশ প্রসাদ। তবে কুম্বলের দুরন্ত ফর্মের জন্য বাকিদের খালি হাতে সাজঘরে ফিরতে হয়েছিল। আর তাই এমন বিশেষ দিনে জাম্বোকে নিয়ে মজা করলেন ভাজ্জি।
প্রতি বছর এই দিনে কুম্বলের কীর্তির ভিডিও টুইট করে বিসিসিআই। সেই ভিডিওকে রিটুইট করে ভাজ্জি লিখেছেন, 'অসাধারণ একটা দিন ছিল। কিন্তু তুমি ১০টা উইকেট নিয়েছিলে অনিল কুম্বলে। আমাকেও তো একটা উইকেট নেওয়ার সুযোগ দিতে পারতে! যাই হোক, তোমার জন্য গর্বিত অনিল ভাই'।
Harbhajan Turbanator (@harbhajan_singh) February 7, 2022
৭ ফেব্রুয়ারি দিল্লির এক কনকনে শীতের সকাল। কোটলার বাইশগজে রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছিলেন কুম্বলে। স্পিনের ছোবলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে একাই শেষ করে দিইয়েছিলেন। তাঁর কীর্তির সুবাদে প্রতিবেশী দেশের বিরুদ্ধে ২১২ রানে জিতেছিল টিম ইন্ডিয়া। তাই এই বিশেষ দিনে দেশের প্রাক্তন অধিনায়ক ও প্রাক্তন কোচকে ধন্যবাদ জানাল বিসিসিআই।
আরও পড়ুন: U19 World Cup, INDU19vsENGU19: স্যর ভিভের মাঠে ‘ভারত উদয়’, দাদুর মতোই সাহেব সংহার করলেন Raj Bawa
সেই ঐতিহাসিক টেস্ট ম্যাচ শুধু কুম্বলের অনন্য নজিরের জন্য বিখ্যাত নয়। একইসঙ্গে একক দক্ষতায় সেই টেস্ট জেতানোর জন্য দুই টেস্টের সিরিজেও সমতা ফিরিয়েছিল মহম্মদ আজহারউদ্দিনের ভারত। চেন্নাইতে প্রথম টেস্টে সচিন তেন্ডুলকর ১৩৬ রান করলেও সেই টেস্টে ১২ রানে হেরেছিল ভারত। তাই ২৩ বছর আগে দিল্লিতে সেই ঐতিহাসিক টেস্ট জয় দেশের ক্রিকেট প্রেমীদের কাছে আরও গুরুত্বপূর্ণ।
টসে জিতে ব্যাট করে প্রথম ইনিংসে ২৫২ রান তোলে ভারত। আজহার সর্বাধিক ৬৭ ও সদগোপান রমেশ ৬০ রান করেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৭২ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। প্রথম ইনিংসেও কুম্বলে ৭৫ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন। হরভজনের ঝুলিতে এসেছিল ৩০ রানে ৩ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসেও ৯৬ রান করেছিলেন বাঁহাতি ওপেনার রমেশ। ৬২ রানে অপরাজিত থাকেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ফলে সেই টেস্ট জেতার জন্য পাকিস্তানের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪২০ রান।
দুই পাক ওপেনার সইদ আনোয়ার ও শাহিদ আফ্রিদি প্রথম উইকেটে ১০১ রান যোগ করলেও শেষরক্ষা হয়নি। অনিল কুম্বলে হাতে বল নেওয়ার পরেই পাকিস্তানের ব্যাটিং তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে। ৬০.৩ ওভারে মাত্র ২০৭ রানে শেষ হয়ে যায় ওয়াসিম আক্রমের দল। দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৪ রান দিয়ে ১০ উইকেট নেন এই প্রবাদপ্রতিম লেগ স্পিনার। দেশের হয়ে ১৩২ টেস্টে ৬১৯ উইকেট নিয়ে ২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে চির বিদায় জানান তিনি। মুথাইয়া মুরলিথরন (৮০০), শেন ওয়ার্ন (৭০৮) ও জেমস অ্যান্ডারসনের (৬৪০) পর, চতুর্থ সর্বোচ্চ উইকেট (৬১৯) শিকারি হিসেবে রয়েছেন কুম্বলে।