মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধন্দে পরিবার, জেলায় প্রথমবার দুই Corona রোগীর post mortem
সকাল থেকে লাইন দিয়েও মিলছে না রক্ত, অভিযোগ পরিজনদের।

নিজস্ব প্রতিবেদন: দীর্ঘদিন করোনায় আক্রান্ত থাকার পর দু’জনের মৃত্যু। তবে মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধন্দে পরিবার। সন্দেহ থাকায় পরিবারের দাবি মতো হল ময়নাতদন্ত। এই অতিমারিতে ঝুঁকি নিয়ে ওই করোনা আক্রান্ত দুই মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করলেন দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের (Durgapur Sub-divisional Hospital) চিকিৎসকরা। পশ্চিম বর্ধমান জেলায় যা প্রথম।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা-উত্তর যুগে এত ব্যাপক post-poll violence কখনও হয়নি: রাজ্যপাল
দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের (Durgapur Sub-divisional Hospital) মর্গে চিকিৎসক দিলীপকুমার মণ্ডলের নেতৃত্বে শনিবার এই ময়না তদন্ত হয়। করোনা পরিস্থিতিতে কার্যত প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে একাজ করেন চিকিৎসকরা। সূত্রের খবর, মৃতদের মধ্যে একজন দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার হাসপাতালে মানসিক অবসাদে গলায় দড়ি দেন। অপর জনেরও অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। তবে অস্বাভাবিক মৃত্যুর তথ্য মানতে নারাজ পরিবার। ময়নাতদন্তের দাবি জানান তাঁরা। তাঁদের দাবি মতো, কোভিড প্রটোকল মেনে ময়নাতদন্ত হয়।
আরও পড়ুন: নিছক দুর্ঘটনা নাকি অন্যকিছু!গভীর রাতের অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু একই পরিবারের ৫ জনের
দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের (Durgapur Sub-divisional Hospital) সুপার ডাক্তার ধীমান মণ্ডল বলেন, ” পশ্চিম বর্ধমান জেলায় এই প্রথম কোভিড আক্রান্ত মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হল। এটা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ কাজ।“ যাঁর নেতৃত্বে এই ঝুঁকির কাজটি সম্পন্ন হল, সেই ডাক্তার দিলীপকুমার মণ্ডল বলেন, “এই সংকটের সময় অনেকে অপরাধ করে করোনায় মৃত বলে দেহ সৎকার করে দিচ্ছে। এক্ষেত্রে দুই পরিবারের সন্দেহ থাকায় নিয়ম-নীতি এবং সরকারি গাইড লাইন মেনে কোভিড মৃতদেহ দুটির ময়না তদন্ত করা হল।”