Midnapore: তান্ত্রিক সেজে মধ্যরাতে শ্মশানে 'তাণ্ডব', আধপোড়া মাংস 'ভক্ষণ', ৪ যুবকের 'ভয়ঙ্কর' কীর্তি
গোটা কর্মকাণ্ড ফেসবুকে লাইভ করে। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে ভিডিও।
নিজস্ব প্রতিবেদন: তান্ত্রিক সেজে শ্মশানে নানান 'কেরামতি'। ফেসবুকে লাইভ করে নিজেদের ভাইরাল করার 'মোহো'। সেই পরিকল্পনা থেকে তান্ত্রিকের বেশে মধ্যরাতে শ্মশানে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠেছে চার যুবকের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে অভিযুক্তদের আটক করেছে পুলিস।
জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে মেদিনীপুর শহরের মহতাবপুর পদ্মাবতী শ্মশানে মধ্যরাতে যায় ওই চার যুবক। অভিযোগ, তাদের মধ্যে একজন তান্ত্রিক সাজে। তারাপীঠের তান্ত্রিক বলে পরিচয় দেয়। এরপর, মৃতদেহের অবশিষ্ঠাংশ, হাড়, ভাঙা হাড়ি থেকে জল খাওয়ার অভিনয় করে। তন্ত্র সাধনার নামে ওই শ্মশানে কার্যত তাণ্ডব চালায় অভিযুক্তরা। গোটা কর্মকাণ্ড ফেসবুকে লাইভ করে। সকালের মধ্যে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে তাঁদের ভিডিও। পুলিসেরও নজরে আসে।
এরপর তৎপর হয় মেদিনীপুরের কোতয়ালি থানার পুলিস। চার যুবকের খোঁজ শুরু হয়। অবশেষে চারজনকে চিহ্নিত করে আটক করে পুলিস। জানা গিয়েছে, নিজেদের ভুল স্বীকার করেছে অভিযুক্তরা। পুলিসকে জানিয়েছেন, নিছক মজার জন্যই মহতাবপুর পদ্মাবতী শ্মশানে গিয়ে ওই কাজ করেছে তারা। পরে ভিডিওটি ফেসবুক থেকে ডিলিট করে দেয় যুবকরা।
এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি অরুপ দাস বলেন, "রাতে মেদিনীপুর শহর সুরক্ষিত নয়। প্রশাসনের নজরদারির অভাবের জন্যই এই ধরণের ঘটনা ঘটেছে। আমরা পুলিশ প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছি, যাতে বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানে প্রহরা বাড়ানো হয়। পাশাপাশি সিসি ক্যামেরা বসানোরও আবেদন করা হয়েছে।" ঘটনা প্রসঙ্গে মেদিনীপুর পুরসভার প্রধান সৌমেন খান বলেন, "আমরা খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। পুলিস পরের দিনই ছেলেগুলোকে চিহ্নিত করেছে। শ্মশানে ২৪ ঘন্টা লোক থাকে, সিসি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এরকম ঘটনা ঘটলে কঠোরতম ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"