অন্ধকারে চিক চিক করছিল! আলো জ্বালতেই হাড়হিম হয়ে গেল অমলবাবুর
বনাঞ্চল কেটে বসতি গড়ে তোলায় বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে বলে মত জীববিজ্ঞানীদের।
নিজস্ব প্রতিবেদন : বাড়ির বারান্দা থেকে উদ্ধার হল বিষধর শঙ্খিনী সাপ। ঘটনাটি জলপাইগুড়ির মালবাজারের।
জলপাইগুড়ির মালবাজার মহকুমার ওদলাবাড়ি ডিপোপাড়া এলাকার বাসিন্দা অমল বিশ্বাস। শুক্রবার রাতে অমল বিশ্বাস দেখেন, তাঁর বাড়ির বারান্দায় কী যেন একটা অন্ধকারে চিক চিক করছে। সন্দেহ হয় অমল বাবুর। অন্ধকারে ভালো করে ঠাওর করতে না পেরে তাড়াতাড়ি বারান্দার আলোটা জ্বালান তিনি। আলো জ্বালাতেই চমকে ওঠেন অমল বাবু। দেখেন বারান্দার মধ্যে কুণ্ডলী পাকিয়ে রয়েছে একটি বিষধর শঙ্খিনী সাপ। প্রায় ৮ ফিট লম্বা সাপটি।
আরও পড়ুন, অন্ধকারে কিছুটা একটা নড়ছে চড়ছে, কাছে গিয়ে যুবক দেখলেন...
বিশালাকার সাপটি দেখেই চিত্কার করে ওঠেন অমল বিশ্বাস। চিত্কার শুনে ছুটে আসেন পাড়া প্রতিবেশীরা। খবর দেওয়া হয় শুভঙ্কর বসাক ও আশিক আলি নামে ২ স্থানীয় সর্পপ্রেমীকে। তাঁরা এসে সাপটিকে বস্তাবন্দি করেন। সাপটিকে তারঘেরা জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন, বোলেরোর ভিতর তল্লাশি চালাতেই চক্ষু চড়কগাছ, উদ্ধার ৬০ লাখি লেপার্ড গোকো
প্রসঙ্গত, ডুয়ার্সের এই অঞ্চলে মাঝে মাঝেই জঙ্গল থেকে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে বিভিন্ন জীবজন্তু। তারমধ্যে কেউটে, অজগরের মতো সাপও রয়েছে। বনাঞ্চল কেটে বসতি গড়ে তোলায় বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে বলে মত জীববিজ্ঞানীদের। তাঁদের মতে, একদিকে বাসস্থানের অভাব, অন্যদিকে খাবারের সংকুলান। এই দুয়ের জেরেই বার বার এভাবে বন থেকে লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে জীবজন্তুরা।