Rape and Murder: ধর্ষণ করে খুন? পরিত্যক্ত হোটেলে উদ্ধার বস্তাবন্দি নাবালিকার দেহ!
মৃত নাবালিকার পরিবার জগদীশ ব্যাপারীর নামে নকশালবাড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ করেন
নিজস্ব প্রতিবেদন: বস্তা বন্দি নাবালিকার মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় নকশালবাড়ি ব্লকের রথ খোলায়। জানা যায়, এলাকার একটি পরিত্যক্ত হোটেল থেকে উদ্ধার হয় নাবালিকার বস্তা বন্দি মৃতদেহ।
মঙ্গলবার রাতে নকশালবাড়ির রথ খোলা এলাকায় একটি পরিত্যাক্ত হোটেলের পাঁচিলের পাশে রক্তাক্ত বস্তা লক্ষ করেন হোটেলের নিরাপত্তারক্ষীরা। মুহুর্তের মধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় নকশালবাড়ি থানার পুলিশ। রক্তাক্ত বস্তা থেকে উদ্ধার হয় এক নাবালিকার মৃতদেহ।
এলাকাবাসীদের বক্তব্য, মৃত মেয়েটির বয়স প্রায় ১৪ বছর। সে ওই এলাকারই বাসিন্দা বলে জানা গেছে। হোটেলের পাশের একটি চায়ের দোকানে তাকে প্রায়ই দেখা যেত। গতকাল সন্ধ্যে বেলায় তাকে সেই চায়ের দোকানে দেখা গিয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীদের দাবি ওই চায়ের দোকানের মালিক জগদীশ ব্যাপারি এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত।
প্রাথমিকভাবে পুলিসের অনুমান, মেয়েটিকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। মাথার ডানদিকে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মৃতদেহ লোপাট করতেই বস্তা বন্দি করে বন্ধ হোটেলের পাঁচিলের পাশে রেখে দেওয়া হয়েছিল। রাতের অন্ধকারে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টায় ছিল অভিযুক্ত জগদীশ ব্যাপারি। তার আগেই হোটেলের নিরাপত্তারক্ষীদের নজরে চলে আসে বিষয়টি।
আরও পড়ুন: Video: প্রার্থী-ক্ষোভে খড়গপুরে দলের পোস্টার ছিঁড়লেন বিজেপি নেত্রী
মৃত নাবালিকার পরিবার জগদীশ ব্যাপারীর নামে নকশালবাড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
অন্যদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীরা অভিযুক্ত জগদীশ ব্যাপারির বাড়ি ভাঙচুর করতে উদ্যত হলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয় নকশালবাড়ি থানার পুলিস। অন্যদিকে ঘটনার পরই এলাকা থেকে গা ঢাকা দিয়েছে জগদীশ ব্যাপারি ও তার পরিবার।
পুলিস মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নকশালবাড়ি থানার পুলিস।