Siliguri: ১৫ দিন ধরে সহবাস, বিয়ে করতে যাওয়ার পথে বেপাত্তা প্রেমিক! রাস্তায় তরুণীর 'কান্নাকাটি'
Siliguri: জানা গিয়েছে, দীর্ঘ আড়াই বছর ধরে সিতাইয়ের ওই যুবক শাহানূর মিয়াঁর সঙ্গে অভিযোগকারিনীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তরুণী শিলিগুড়ির শালবাড়ির বাসিন্দা। শিলিগুড়িতে কাজ করতে গিয়ে মেয়েটির সঙ্গে শাহানূরের আলাপ হয়৷ সে বিয়ের প্রস্তাব দিলে, প্রথমে তরুণী রাজি হননি৷ এরপর শিলিগুড়ি থেকে অসমে কাজ করতে যায় শাহানূর।
নারায়ণ সিংহ রায়: বিয়ে করতে যাওয়ার পথে বেপাত্তা প্রেমিক। এই ঘটনাকে ঘিরে বৃহস্পতিবার বিকালে শিলিগুড়ি সংলগ্ন ফুলবাড়ি এলাকায় চরম চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিয়োগ, বিয়ে করতে যাওয়ার সময় রাস্তায় প্রেমিকাকে বসিয়ে রেখে চম্পট দেয় প্রেমিক। দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও তার দেখা মেলেনি। অভিযুক্ত প্রেমিকের নাম শাহানূর মিয়াঁ। মেয়েটির দাবি, অভিযুক্তের সঙ্গে তার দুই জামাইবাবুও ছিল। তারাও এক এক করে চম্পট দেয়। মাঝ রাস্তায় কনের পোশাকে মেয়েটিকে কান্নাকাটি করতে দেখে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
জানা গিয়েছে, দীর্ঘ আড়াই বছর ধরে সিতাইয়ের ওই যুবক শাহানূর মিয়াঁর সঙ্গে অভিযোগকারিনীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তরুণী শিলিগুড়ির শালবাড়ির বাসিন্দা। শিলিগুড়িতে কাজ করতে গিয়ে মেয়েটির সঙ্গে শাহানূরের আলাপ হয়৷ সে বিয়ের প্রস্তাব দিলে, প্রথমে তরুণী রাজি হননি৷ এরপর শিলিগুড়ি থেকে অসমে কাজ করতে যায় শাহানূর। অভিযোগ, দিন পনেরো আগে সে শিলিগুড়ির এনজেপি স্টেশনে নামে এবং তরুণীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে যায়। বিয়ে না করে একটি বাড়িতে তারা এতদিন ভাড়া ছিল। বৃহস্পতিবার তাদের রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করার কথা ছিল।
জানা গিয়েছে, বিয়ে করতে যাওয়ার পথে বৃহস্পতিবার ফুলবাড়ির কাছে একটি দোকানে তরুণীকে নিয়ে যায় শাহানূর। সেখানে তরুণীকে বসিয়ে রাখে এবং এরপর এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় সে। দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও প্রেমিককে ফিরতে না দেখে রাস্তাতেই কান্নাকাটি জুড়ে দেন তরুণী। স্থানীয়রা ছুটে যেতেই সম্পূর্ণ ঘটনা জানা যায়। এরপর ঘটনাস্থলে যায় নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিস। শাহানূরের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ দায়ের করেন মেয়েটি।
পুলিসকে মেয়েটি জানায়, তাঁকে নিজের পরিবারের সঙ্গে কথা বলিয়েছিল শাহানূর। বৃহস্পতিবার কোচবিহারে তাঁদের আইনত বিয়ের কথা ছিল। অভিযুক্তের সঙ্গে আরও দু'জন ছিল। তারা শাহানূরের জামাইবাবু। অভিযোগকারিনীর ভাই এমডি ফিরোজ আলি জানান , "দিদি বাড়ি থেকে চলে গিয়েছে প্রায় ১৫ দিনের বেশি। আমরা কেউ কিছুই জানতাম না। গতকাল ফোন করে দিদি জানায় বিয়ে করছে। ছেলে সিতাইয়ের। আমরা আপত্তি জানাইনি। এখন শুনছি এই ঘটনা। আমরা যোগ্য বিচার চাই।"