Abhishek Banerjee: 'মানসিক অবস্থা ঠিক নেই', অভিষেকের নিশানায় শুভেন্দু
'ও কী ভাবে নিজেকে! আমি যাকে যা খুশি বলব, আর মানুষ সব দেখবে, শুনবে', বিরোধী দলনেতাকে কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্য়ায়: 'ক্ষমা চাওয়ার সাহস আছে'? শুভেন্দু অধিকারীকে এবার পাল্টা চ্যালেঞ্জ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, 'মানসিক অবস্থা ঠিক নেই। বাড়ির বাইরে গান বাজলে আদালতে মামলা করে। অভিষেক আতঙ্কে ভুগছে। মনোবিদ দরকার'। রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে তাঁর পরামর্শ, 'কাঁচের ঘরে বসে ঢিল ছঁড়বেন না'।
রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে বেফাঁস মন্তব্য করে বিপাকে মন্ত্রী অখিল গিরি। দল যে তাঁর মন্তব্যকে সমর্থন করে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে তৃণমূল। এমনকী, অখিল বিতর্কে মুখ্যমন্ত্রী যখন ক্ষমা চেয়েছেন, কারা দফতরের প্রতিমন্ত্রীর পদত্য়াগের দাবিতে রাজভবনে যান শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি বিধায়করাও।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে এদিন ডায়মন্ড হারবারে প্রশাসনিক বৈঠক করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক শেষে তিনি বলেন, 'ও কী ভাবে নিজেকে! আমি যাকে যা খুশি বলব, আর মানুষ সব দেখবে, শুনবে। আপনি বীরবাহা হাঁসদার বিরুদ্ধে কী বলেছেন? জঙ্গলকন্যা বলতে পারেন, ২০২১-র বিধানসভা ভোটের পর যাঁকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রী করেছেন, জঙ্গলমহলের গর্ব, তাঁকে বলছে, জুতোর তলায় রাখি'! তাঁর আরও বক্তব্য,'অখিল গিরি যে কথাটা বলেছে, দল তা কোনওভাবেই সমর্থন করে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমা চেয়েছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আর বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি পারবে, শুভেন্দু অধিকারী যে কথাটা বলেছে, তাঁর জন্য সারা ভারতবর্ষের কাছে ক্ষমা চাইতে'।
প্রশাসনিক বৈঠকে কী আলোচনা হল? অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, 'এক ডাকে অভিষেক বলে একটা কর্মসূচি শুরু করেছিলাম জুন মাসে। এখনও পাঁচ মাস সম্পূর্ণ হয়নি। চার লক্ষেরও বেশি ফোন এসেছে। সবার বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। সেই সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনা বৈঠক করলাম। আমাদের এক্রিয়ার, সামর্থ্য অনুযায়ী সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করেছি। ৫০-৬০ শতাংশ সমস্যা ইতিমধ্যেই সমাধান করেছি। কিছু সমস্যা এখনও রয়েছে। আমরা ঠিক করেছি, প্রত্যেক এক-দু'মাসে একবার করে বৈঠক করব। শুধুমাত্র লোকসভা ভিত্তিক নয়, ব্লকেও মাসে ৩ বার করে বৈঠক হবে'। এদিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনিক আধিকারিকরা। পরবর্তী বৈঠক ১৫ ডিসেম্বর।