Duttapukur Blast: জামিন পেয়ে ফের বাজি কারখানা চালু করে দত্তপুকুর বিস্ফোরণে অভিযুক্ত কেরামত!
জামিন পাওয়ার পর ফের কীভাবে বেআইনি ব্যবসা? প্রশ্নের মুখে পুলিসের ভূমিকা। ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা।
পিয়ালী মিত্র: গ্রেফতার করা হয়েছিল আগেও! জামিন পাওয়ার পর ফের কীভাবে বেআইনি ব্যবসা শুরু করল অভিযুক্ত কেরামত? দত্তপুকুরে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণকাণ্ডে প্রশ্নের মুখে পুলিসের ভূমিকা। ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: Dutttapukur Blast: 'বিকট শব্দের পর উড়ে এসে পড়ল কাটা হাত; দেখেই বেহুঁশ শাশুড়ি'
ব্যবধান মাস তিনেক। ফের বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ! এগরার ভয়াবহ স্মৃতি ফিরল দত্তপুকুরে। এদিন সাতসকালে বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে দত্তপুকুরের মোচপোল এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মোচপুল পশ্চিমপাড়ায় একটি বাড়ি বাজির কারখানা ছিল। কারখানায় কাজ করতেন মুর্শিদাবাদ-সহ বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিকরা।
বিস্ফোরণে সেই বাড়ি এখন কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। এমনকী, আশেপাশে যে বাড়িগুলি ছিল, সেই বাড়িগুলির বিভিন্ন অংশও! চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে দেহাংশ। বাজি কারখানায় এখনও পর্যন্ত মৃত ৭। মৃতের তালিকায় ৮ বছরের এক বালক। অভিযোগ, দত্তপুকুরে এই কেরামতের বাড়িতে চলছিল বেআইনি বাজি কারখানা।
পুলিস সূ্ত্রে খবর, আগে নিম পুকুরিয়া এলাকায় একটি বাজি কারখানা চালাত কেরামত। এরপর চলতি বছরের মে মাসে যখন পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্ফোরণ ঘটে, তখন রাজ্যজুড়ে বেআইনি বাজি কারখানা বন্ধ করতে তৎপর হয় পুলিস। তখন গ্রেফতার করা হয়েছিল কেরামতকে। কেন? ২০২১ সালে পর বাজির কারখানার লাইসেন্স ছিল না তার। পরে স্রেফ জামিন নয়, দত্তপুকুরের মোচাপোল এলাকায় ফের বাজি কারখানা চালু করে সে। সেই কারখানাতেই এবার বিস্ফোরণ ঘটল।
আরও পড়ুন: Dutttapukur Blast: বিস্ফোরণের পেছনে আইএসএফ নেতা! চাঞ্চল্যকর দাবি খাদ্যমন্ত্রীর
এগরায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৫ জন। গুরুতর আহত ৭। নিহতদের পরিবারকে আড়াই লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। ১ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয় গুরুতর আহতদেরও। সঙ্গে চিকিৎসার ব্যবস্থাও।