ফের রক্তাক্ত শৈশব, আড়াই বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ নারকেলডাঙায়
ফের আক্রান্ত শৈশব। জিডি বিড়লা স্কুলের ঘটনার পর ক'দিনই বা কেটেছে? ফের বীভৎসতার আরেক রূপ। এবার লালসার শিকার আড়াই বছরের শিশুকন্যা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ফের আক্রান্ত শৈশব। জিডি বিড়লা স্কুলের ঘটনার পর ক'দিনই বা কেটেছে? ফের বীভৎসতার আরেক রূপ। এবার লালসার শিকার আড়াই বছরের শিশুকন্যা।
বয়স সবে আড়াই। দিনদুনিয়ার বোঝার ক্ষমতা হয়নি এখনও, তবু বুঝতে হল জীবনের ভয়ঙ্কর নির্মমতাকে। ভুগতে হল অসহনীয় যন্ত্রণা।
এবার স্কুল নয়, বাড়ির সামনে থেকে তুলে নেওয়া হয় শিশুকে। ঘটনা নারকেলডাঙা ওমদা রাজা লেনের। অভিযুক্ত রাজু রায় পেশায় ভ্যানচালক। অভিযোগ শিশুটি যখন খেলছিল তখন ওই ভ্যানচালক তাকে কোলে নিয়ে মুন্না রায় নামে আরেক যুবকের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানেই শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
এদিকে মেয়েকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুজি শুরু করেন তার মা। মুন্না নামে ওই ব্যক্তির ঘর থেকে শিশুকন্যার কান্নার আওয়াজ পেয়ে তিনি সেখানে ছুটে যান। দেখতে পান তাঁর ছোট্ট মেয়ে তখন বিবস্ত্র অবস্থায় ছটফট করছে। যৌনাঙ্গে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল বলে অভিযোগ। অভিযুক্তকে মারধর শুরু করেন। কিন্তু মেয়েকে যন্ত্রণায় কাতরাতে দেখে তিনি সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। ততক্ষণে তাঁর চিৎকারে স্থানীয় বাসিন্দারা সেখানে জড়ো হতে শুরু করেছেন। এরই মধ্যে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত।
শিশুটিকে উদ্ধার করে এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
জানা গিয়েছে অভিযুক্ত বছর ৩০এর রাজু রায় নামে ওই ব্যক্তি বিহারের বাসিন্দা। নারকেলডাঙা ওমদা রাজা লেনে খাটাল এলাকায় সে বাড়িভাড়া নিয়ে থাকে। কোলে মার্কেটে সে খালাসির কাজ করত। ঘটনার পর রাজুর ধরে ভাঙচুর চালায় বাসিন্দারা। শনিবার সকালে বেলেঘাটা থেকে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত রাজু রায়কে। এখনও পলাতক মুন্না। এই ধর্ষণের ঘটনায় শুধু রাজু নয়, মুন্নাও জড়িত বলে মনে করছে পুলিস।