Alipurduar: দুই সাংসদ, দুই সেনাপতি! তৃণমূল-বিজেপি লড়াইয়ে ১ ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ কেউই…
Alipurduar: দুই সেনাপতি, এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে রাজিনন কেউ। তাই সকাল থেকে রাত এ চা বাগান থেকে অন্য চা বাগানে ছুটে চলেছেন। চা বলয়ের শ্রমিকদের মন জয় করতে। একজনের চিন্তা নিজের জেতা আসন অটুট রাখতে , আরেক জন সেই আসন ছিনিয়ে আনার চেষ্টা করছেন।

তপন দেব: দুই সেনাপতি, এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে রাজিনন কেউ। তাই সকাল থেকে রাত এ চা বাগান থেকে অন্য চা বাগানে ছুটে চলেছেন। চা বলয়ের শ্রমিকদের মন জয় করতে। একজনের চিন্তা নিজের জেতা আসন অটুট রাখতে , আরেক জন সেই আসন ছিনিয়ে আনার চেষ্টা করছেন।
একজন বিজেপির লোকসভার সাংসদ , তিনি আবার জেলা বিজেপির সভাপতিও। অন্য জন তৃনমুল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ , তিনিও তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি ।
মনোজ টিগ্গা বিজেপি সাংসদ। তার নিজের জয়লাভ করা বিধানসভার উপনির্বাচন। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে বীরপাড়া- মাদারীহাট বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রায় ২২ হাজারেরও কিছু বেশি ভোটে জয়লাভ করেছিলেন। তিনি সাংসদ হওয়ায় এই বিধানসভার উপনির্বাচন। নিজের পছন্দের প্রার্থী রাহুল লোহারকে জয়ী করার জন্য কোন ফাক রাখতে রাজিনন তিনি। গত লোকসভা নির্বাচনেও এই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রায় ৭ হাজারেও কিছু বেশী ভোটে লিড পেয়ে ছিলেন মনোজ। এবার সেই আসন ধরে রাখতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে মনোজকে। কারণ দলের নেতা প্রাক্তন সাংসদ জন বার্লা। জন বার্লা খোদ মনোজের বিক্ষুব্ধ হয়ে বিজেপির ভোটযন্ত্রে নাড়া দিয়েছেন। যদিও মনোজ জনকে গুরুত্ব দিতে রাজি নন। তার কথায় ব্যাক্তি নয় , সংগঠনই জয় আনবে বিজেপির।
আরও পড়ুন:Kalna mysterious Death: 'মা ওরা আমাকে বাঁচতে দেবে না', কালনায় ছাত্রীর রহস্যমৃত্যু...
অন্য দিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি প্রকাশ চিক বরাইকের কাছে চ্যালেঞ্জ জেলার পাঁচটি বিধানসভার একটিও দলের টিকিটে জয়ী বিধায়ক নেই। তাই উপনির্বাচনে দলের টিকিটে একজন বিধায়ককে জয়ী করে দলের কাছে তার নিজের গুরুত্ব বোঝান জরুরী হয়ে পরেছে। তাই রাজ্যের তরফে মানুষ কী কী উপকার পান, দলের টিকিটে বিধায়ক পেলে বীরপাড়া - মাদারীর মানুষের কী কী উন্নয়ন হবে তা শুনিয়েই জয়ী হওয়ার আপ্রান চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। অন্যদিকে, বিজেপির ভোট ব্যাঙ্কে থাপা বসাতে তাই জন বার্লার ভুয়সি প্রসংশা করে বিজেপির অন্তকলহকে তুলে ধরে বাজিমাত করতে চাইছেন তিনি। এখন শেষ হাসি কোন জেলা সভাপতি হাসেন তা দেখতে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)