Sukanta on Rampurhat: 'মগের মুলুক চলছে, পদত্যাগ করুন মুখ্যমন্ত্রী', রামপুরহাটের ঘটনায় সরব সুকান্ত
রামপুরহাটের ঘটনায় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করল বিজেপি
নিজস্ব প্রতিবেদন: রামপুরহাটে তৃণমূল উপপ্রধান খুন ও তার পরবর্তীতে একাধিক বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এখনওপর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু খবর পাওয়া যাচ্ছে। রামপুরবাটের বগটুই গ্রামে কমপক্ষে ১০টি বাড়ী ভষ্মীভূত। দমকলের দাবি এতে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। এর মধ্যে রয়েছে ২টি শিশু। এনিয়ে মুখ খুললেন রাজ্য বিজেপির প্রধান সুকান্ত মজুমদার।
তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু সেখের মৃত্যু ও পরবর্তীতে বগটুই গ্রামে অগ্নি সংযোগের ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের। এটি গ্রাম্য বিবাদ বলেই মনে করছেন তিনি। তবে রাজ্যে বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, এখনওপর্যন্ত ১০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে কলকাতায় দেখা গিয়েছে প্রকাশ্যে দিনের বেলায় বন্দুক বেরিয়েছে। গুলি চলেছে। রাজ্যের ২ কাউন্সিলর খুন হয়েছেন। এটা রাজ্য চলছে নাকি সার্কাস! এতবড় একটা ঘটনা ঘটে গেল, ১০ জনের জীবন চলে গেল আর পুলিস কিছু জানল না! পুলিস করছিল কী! পুলিসের কাজ কি মমতাকে সার্বজনীন মা বানানো নাকি মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়া?
সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, রামপুরহাটের ঘটনা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক যাতে রিপোর্ট চায় সেই বিষয়ে বঙ্গ বিজেপির পক্ষ থেকে আবেদন করব। মগের মুলুক চলছে বাংলায়। পুলিসের কন্ট্রোল নেই। পুলিসমন্ত্রির ভূমিকা নেই। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছে ওপর থেকে নীচে পর্যন্ত।
রামপুরহাটের ঘটনায় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করল বিজেপি। অবিলম্বে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপের আর্জি জানাল গেরুয়া শিবির। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিল আদালত। পাশাপাশি, রামপুরহাটের ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হস্তক্ষেপ দাবিও করল বিজেপি। ঘটনাস্থল বগটুই গ্রামে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানোর দাবি জানাল তারা। রামপুরহাটের ঘটনার প্রতিবাদে আজ বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করল বিজেপি। বিধানসভার গেটে বিজেপির অবস্থান বিক্ষোভ।
আরও পড়ুন-নিখোঁজ তাহেরপুরের দুই মাধ্যমিকের ছাত্রী, অপহরণ করে বিক্রির অভিযোগ পরিবারের