দর্জির দোকানের আড়ালে অস্ত্র ব্যবসা, বারুইপুরে পর্দাফাঁস বিশাল কারবারের
অটোর মধ্যে কাপড় জড়ানো অবস্থায় উদ্ধার হয় ৭টি লং ব্যারেল পাইপগান, একটি ছোট পাইপগান ও একটি সেভেন এমএম পিস্তল।
নিজস্ব প্রতিবেদন : সামনে দর্জির দোকান। আড়ালে রমরমিয়ে চলছিল আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবসা। অবশেষে পুলিসের ফাঁদে ধরা পড়ল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের রঘুনাথপুরের ওই অস্ত্র ব্যবসায়ী। ধৃতের নাম শওকত মোল্লা। প্রচুর পরিমাণে আগ্নেয়াস্ত্র সহ ধৃতের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাজা কার্তুজ ।
পেশায় দর্জি মিস্ত্রি। কিন্তু দর্জির কাজের আড়ালে মূলত আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রি-ই ছিল ধৃতের প্রধান ব্যবসা। কিছুদিন আগে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শওকত মোল্লার বাড়িতে হানা দেয় পুলিস। কিন্তু সেবার ব্যর্থ হয়ে খালি হাতে হাতে ফিরতে হয় তাদের। এরপর মঙ্গলবার রাতে বারুইপুর পুলিস জেলার আধিকারিকদের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রির।
খবর পেয়েই তড়িঘড়ি স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের ওসি লক্ষ্মীকান্ত বিশ্বাস ও বকুলতলা থানার ওসি হাবুল আচার্য এর নেতৃত্বে বিশাল পুলিস বাহিনী হানা দেয় মোহিষমারি এলাকায়। পুলিসি অভিযানের সময়ই একটি অটো সহ আটক করা হয় শওকত মোল্লাকে। অটোর মধ্যে কাপড় জড়ানো অবস্থায় উদ্ধার হয় ৭টি লং ব্যারেল পাইপগান, একটি ছোট পাইপগান ও একটি সেভেন এমএম পিস্তল। সঙ্গে ম্যাগাজিন সহ প্রচুর পরিমাণে কার্তুজ।
আরও পড়ুন, সাতসকালে ভাটপাড়ায় শুটআউট, বাইকে করে এসে যুবককে গুলি
বারুইপুর পুলিস জেলার পুলিস সুপার জানিয়েছেন, ধৃত শওকত মোল্লা অনেকদিন ধরেই বাইরে থেকে আগ্নেয়াস্ত্র আমদানি করে জয়নগর, বকুলতলা সহ বিভিন্ন এলাকায় অস্ত্র বিক্রির কারবার ফেঁদে বসেছিল। পুলিস তদন্ত শুরু করেছে। কোথা থেকে এই আগ্নেয়াস্ত্র আসত? কোথায় এই অস্ত্র তৈরি হয়? কোথায় কোথায় কাদের কাছে এই অস্ত্র পৌঁছত? শওকত মোল্লাকে জেরা করে তার হদিস জানার চেষ্টা করছে পুলিস।