পরিবারের উপর পুলিসি নজরদারিই ধরিয়ে দিল ভদ্রেশ্বরে পুরপ্রধান হত্যাকাণ্ডের অভিযুক্তদের

কিন্তু খুনের মোটিভ কী? তা জানতে জেরা ধৃতদের। আজ আদালতে পেশের পর, ট্রানজিট রিমান্ডে রাজ্যে আনার প্রক্রিয়া শুরু হবে। 

Updated By: Nov 28, 2017, 08:34 AM IST
পরিবারের উপর পুলিসি নজরদারিই ধরিয়ে দিল ভদ্রেশ্বরে পুরপ্রধান হত্যাকাণ্ডের অভিযুক্তদের

নিজস্ব প্রতিবেদন: সাত দিনের মাথায় অবশেষে ব্রেক থ্রু। ভদ্রেশ্বর পুরসভার চেয়ারম্যান মনোজ উপাধ্যায় হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করল পুলিস। বেনারস থেকে মোট সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতেরা একটি লজে লুকিয়ে ছিল। গ্রেফতার করা হয়েছে রাজু চৌধুরী, রতন চৌধুরী, কৃষ্ণ চৌধুরী, আকাশ চৌধুরী, রাজেশ চৌধুরী, সন্তোষ প্রসাদ ও দেবু পাকড়েকে। পুলিস সূত্রে খবর, বিহার হয়ে উত্তরপ্রদেশে পালায় অভিযুক্তরা। কিন্তু খুনের মোটিভ কী? তা জানতে জেরা ধৃতদের। আজ আদালতে পেশের পর, ট্রানজিট রিমান্ডে রাজ্যে আনার প্রক্রিয়া শুরু হবে।  

আরও পড়ুন :  মনোজ উপাধ্যায় হত্যা : বেনারস থেকে গ্রেফতার ভদ্রেশ্বরের পুর চেয়ারম্যান খুনে অভিযুক্তরা

ফোনে বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগই কাল হল। পরিবারের লোকজনের ওপর পুলিসি নজরদারিই ধরিয়ে দিল ভদ্রেশ্বরে পুরপ্রধান হত্যাকাণ্ডের অভিযুক্তদের। খুনের পরপরই তারা তড়িঘড়ি রাজ্য ছাড়ে। তবে টাকা ফুরিয়ে আসায় সমস্যা শুরু হয়। বেনারসে লজ থেকে টাকার জন্যই পরিবারের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করে তারা। তবে নিজেদের মোবাইল থেকে নয়, অন্য নম্বর থেকে ফোন করতে থাকে। কিন্তু নজর রাখছিল পুলিস। অজানা নম্বর ট্র্যাক করতেই বেরিয়ে যায় বেনারসের লোকেশন। চন্দননগর পুলিস কমিশনারেটের বিশেষ দল সেখানে পৌছে অভিযুক্তদের ধরে ফেলে। তদন্তে সাহায্য করে সিআইডি টিমও।

এলাকার দুই পরিচিত দুষ্কৃতী রাজু ও রতন চৌধুরীকে আগেই পুলিসের কাছে সনাক্ত করেছিল ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী চিন্টু দুবে। পরে এঘটনায় ধৃত মুন্না রাই নামে এক দুষ্কৃতীর থেকেও রাজু, রতন সহ কয়েকজনের নাম পায় পুলিস। তারপর থেকে চলছিল চিরুণি তল্লাসি। হত্যাকাণ্ডে নাম জড়িয়েছে পুরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর রাজু সাউয়েরও। FIR-এ  নাম রয়েছে তাঁর। তবে তিনি এখনও ফেরার।

আরও পড়ুন : রাজ্যে মিড ডে মিল সুপারভাইজার নিয়োগ, জেলাস্তরে ব্যাপক হারে কর্মসংস্থান

.