Monoranjan Byapari: বিধায়কের বিরুদ্ধে এফআইআর যুবনেত্রীর, রুনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী মনোরঞ্জন!

 আমি রুনা খাতুনের কাছেও ক্ষমা চাইতে পিছপা হব না। একটি শব্দ আমার ব্যবহার করা উচিত হয়নি।

Updated By: Jan 4, 2024, 06:10 PM IST
Monoranjan Byapari: বিধায়কের বিরুদ্ধে এফআইআর যুবনেত্রীর, রুনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী মনোরঞ্জন!

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রথমে ফেসবুকে পোস্ট করে হুঁশিয়ারি। তারপর আবার ফেসবুক পোস্ট করেই ক্ষমাপ্রার্থী মনোরঞ্জন ব্যাপারী। একইসঙ্গে দাবি করলেন, দল তৃণমূল কংগ্রেস, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় তাঁর পাশে আছেন। যদিও তাঁকে বলাগড় ছাড়া করার চেষ্টা করা হচ্ছে, কিন্তু তিনি দল ও বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করবেন না।

বলাগড়ের বিধায়ক লিখেছেন,"ফেসবুকে যে পোস্ট আমি করেছি, একটি ভাষা আমার ব্যবহার করা উচিত হয়নি। তার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। প্রয়োজনে আমি রুনা খাতুনের কাছেও ক্ষমা চাইতে পিছপা হব না। কিন্তু উনি যেভাবে আমাকে ধর্ষক বলেন, সেটা কি ঠিক? অনুশোচনা প্রকাশ করছি। গোটা বাংলাভাষী এবং ভারতবাসীর কাছেও। একটি শব্দ আমার ব্যবহার করা উচিত হয়নি। দলের জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েছি। রুনা খাতুন এবং তার স্বামী অরিজিৎ যেভাবে জুয়ার বোর্ড চালাত, গাঁজা পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিল, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে। বালি পাচার করে। রুনা খাতুনের স্বামী অরিজিতের একটি জুয়ার বোর্ড আছে। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে আমি আছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার পাশে আছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমার পাশে আছেন। রুনা খাতুন আমাকে বলাগড় ছাড়া করার চেষ্টা করছেন। আর্থিকভাবে প্রলোভন দেখাচ্ছে।  আমি বলাগড় না গেলে ওই দুজনের সুবিধা হবে। কে বাবু, পাশে আছে জানি না? জানতে পারলে বলব। জেলা পুলিস ও স্থানীয় থানার ওসি ভালো। তারা আমার পাশে আছেন। আমি দল ও বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করব না।"

ওদিকে হেনস্থা করছেন বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী, এই অভিযোগে বলাগড় থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন রুনা খাতুন। ক্যামাক স্ট্রিট থানাতেও একই অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে দাবি রুনা খাতুনের। উল্লেখ্য, 'আসছি আমি বলাগড়ে, এবার খেলা জমে যাবে!' ফেসবুকে জেলার যুবনেত্রীকে বেলাগাম আক্রমণ করেন মনোরঞ্জন ব্যাপারী। সঙ্গে অকথ্য গালাগালি। কলকাতা থেকে বলাগড় ফিরেই পালটা দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন বিধায়ক। দুর্নীতি-অভিযোগের পর এবার রুনা খাতুনের বিরুদ্ধে তাঁর অফিসে ভাঙচুর চালানোর তোপ দাগেন বলাগড়ের বিধায়ক। তার আগে বুধবার সকালে জেলা তৃণমূল যুবনেত্রী তথা বলাগড়ের জেলা পরিষদের সদস্য রুনা খাতুনকে ‘ফুলন দেবী’ বলে একহাত নেন মনোরঞ্জন। সেই আক্রমণের পর পালটা সুর চড়ান রুনাও। শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতর।

আরও পড়ুন, Bagnan SI death: মাত্র ১ বছর আগে বাগনানে পোস্টিং, 'ভালো মানুষ' SI সুজয়ের নেশা ছিল ক্রিকেট!

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.