Balurghat: কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ায় স্ত্রীকে নিতে অস্বীকার নয়, এক দিন পরেই বেরিয়ে এল আসল সত্য
পূজার দাবি, প্রসব যন্ত্রণা ওঠায় গত ১১ নভেম্বর তাকে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় মালদহ মেডিক্যাল কলেজে
নিজস্ব প্রতিবেদন: মালদহের একটি নার্সিং হোম থেকে স্ত্রী ও কন্যা সন্তানকে ফেরত নিয়ে যেতে চাইছিলেন না এক ব্যক্তি। এমনই তত্ত্ব খাড়া করেছিল নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষ। কিন্তু একদিন পেরোতেই বেরিয়ে এল আসল সত্য।
বালুরঘাটের বান হাট খারি পড়ার বাসিন্দা পূজা মারডি এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন মালদহের এক বেসরকারি নার্সিং হোমে। তার স্বামী সুরজ বেসরা তাকে নার্সিং হোম থেকে ফেরত নিয়ে যাচ্ছিল না এমনটাই অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু প্রশাসনের সাহায্যে বাড়ি ফিরে পূজা জানিয়েছেন মোট ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা বিল হয়েছিল ওই নার্সিং হোমে। ধার দেনা করে ২০ হাজার টাকা শোধ করেছিলেন তাঁর স্বামী। কিন্তু বাকী টাকা দেওয়ার ক্ষমতা তাদের ছিল না। জামিজমা তেমন কিছুই ছিল না যা বিক্রি করে ওই টাকা দেওয়া সম্ভব।
আরও পড়ুন-KMC Election: শেষবেলায় প্রচারে Mamata; ভোট শান্তিপূর্ণ রাখতে প্রার্থীদের কড়া বার্তা Abhishek-র
পূজার দাবি, প্রসব যন্ত্রণা ওঠায় গত ১১ নভেম্বর তাকে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় মালদহ মেডিক্যাল কলেজে। অ্যাম্বুল্যান্স চালক তাঁকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি না করে ভর্তি করে দেয় মালদহের এক বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই এক কন্য়া সন্তানের জন্ম হয় তাঁর। সন্তান জন্মের পর অসুস্থ হয়ে পড়ায় ৪ দিন রাখতে হয় আইসিইউতে। তার পরেই তাকে তিন লাখ ২০ হাজার টাকার বিল ধরানো হয়। তার মধ্যে ধার করে ২০ হাজার টাকা দেন পূজার স্বামী। তারপরই টাকার জন্য ভিন রাজ্যে চলে যান। সেই কারণেই স্ত্রীকে নিতে আসতে পারেননি। কিন্তু রটে যায় কন্যা সন্তান জন্ম নেওয়ার পূজাকে ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে না তার স্বামী। নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষ খারাপ ব্যবহার না করলেও টাকা মেটানোর জন্য চাপ দিত। শেষপর্যন্ত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে তিনি ছাড়া পান।
এনিয়ে ডিএসপি হেডকোয়ার্টার সোমনাথ ঝা বলেন, আর্থিক অবস্থার কারণেই আটকে রাখা হয়েছিল পুজা মারডিকে। টাকা শোধ করতে না পারার কারণেই ভয়ে নার্সিং হোমে যায়নি পরিবার। পুজা মারডির মেয়ের খাবার ও পরিবারের আগামী কয়েক মাসের দায়িত্ব নিচ্ছে পাতিরাম থানার পুলিস।