'দিদিকে বলো'য় ফোন করে উদ্ধার পেলেন কর্নাটকে বন্যায় আটকে পড়া বাঙালি পরিবার

ফোনে জানান, তাঁরা ৪ দিন ধরে ঘরবন্দি হয়ে পড়ে রয়েছেন। তাঁদের কাছে এখনও পর্যন্ত সরকারের তরফে কোনও ত্রাণ পরিষেবা পৌঁছয়নি।

Updated By: Aug 13, 2019, 07:39 PM IST
'দিদিকে বলো'য় ফোন করে উদ্ধার পেলেন কর্নাটকে বন্যায় আটকে পড়া বাঙালি পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদন : আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যবাসীর সঙ্গে নিবিড় সংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে 'দিদিকে বলো' কর্মসূচি শুরু করেছে তৃণমূল। নয়া এই উদ্যোগের পিছনে রয়েছে প্রশান্ত কিশোরের মস্তিষ্ক। তৃণমূল দাবি করেছে, পথ চলা শুরু করেই ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে 'দিদিকে বলো'। প্রথম ১১ দিনে ৫ লাখ রেজিস্ট্রেশন। মূলত দল তথা দলীয় নেতাদের নিয়ে অভিযোগের পাশাপাশি স্থানীয় সমস্যা, 'দিদিকে বলো'তে ফোন করলেই সরাসরি জানানো যাবে তৃণমূল নেত্রীকে। আর তারপর সেইমতো মুসকিল আসান করবেন 'দিদি' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হারানো জনসংযোগ ফিরে পেতে সেই পরিকল্পনা নিয়েই শুরু হয় 'দিদিকে বলো'। কিন্ত, এবার সামনে এল এমন একটি ঘটনা, যেখানে বন্যাদুর্গত যুবককে উদ্ধারে ত্রাতার ভূমিকার পালন করল 'দিদিকে বলো'।

ঘটনাটি সবিস্তারে...
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা অরিন্দম বিট। 'দিদিকে বলো'-তে ফোন করে তিনি জানান, কর্ণাটকের কারওয়া শহরে কায়দা টাউনশিপে আটকে রয়েছেন তাঁর বোনের পরিবার। বন্যা বিধ্বস্ত কর্ণাটক। জলবন্দি জনজীবন। এদিকে ওই এলাকায় রয়েছে ২০টি বাঙালি পরিবার। এই পরিস্থিততে 'দিদিকে বলো'তে ফোন করেন অরিন্দম বাবু। ফোনে জানান, তাঁরা ৪ দিন ধরে ঘরবন্দি হয়ে পড়ে রয়েছেন। তাঁদের কাছে এখনও পর্যন্ত সরকারের তরফে কোনও ত্রাণ পরিষেবা পৌঁছয়নি। তাঁদেরকে ওই অসহনীয় অবস্থা থেকে উদ্ধারের আর্তি জানান তিনি 'দিদিকে বলো'তে। ত্রাণ পাঠানোর কথা বলেন তিনি।

অরিন্দম বাবু জানান, ওই এলাকা বিদ্যুতবিহীন হয়ে পড়ে রয়েছে। কাজ করছে না টেলিফোন নেটওয়ার্ক। ফলে সম্পূর্ণরূপে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন তাঁরা। চরম উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন কাটছে। 'দিদিকে বলো'-তে এই ফোন পাওয়ার পরই কালবিলম্ব না করে হস্তক্ষেপ করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রাজ্য সরকারের তরফে কর্নাটক সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। দুর্গতদের উদ্ধারে পাঠানো হয় নৌকা। অবশেষে আটকে পড়া অবস্থা থেকে উদ্ধার পান তাঁরা। তাঁদেরকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।

আরও পড়ুন, 'দিদিকে বলো'-তে মুখ্যমন্ত্রীকে অর্ধেকের বেশি অভিযোগ তৃণমূলের কোন্দল নিয়েই

প্রসঙ্গত, 'দিদিকে বলো'-তে ফোন করার ক্ষেত্রে কলারের নাম ও পরিচয় গোপন রাখাই নিয়ম। তবে এক্ষেত্রে I-PAC সূত্রে জানা যাচ্ছে, তাঁরা সমস্ত অভিযোগেরই গোপনীয়তা বজায় রাখছে। কিন্তু এক্ষেত্রে যিনি অভিযোগ করেছেন, তাঁর অনুমতি নিয়েই নাম প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। ভবিষ্যতেও এরকম ধরনের কোনও সমস্যার ক্ষেত্রে কলারের অনুমতি সাপেক্ষে তা প্রকাশ্যে আনা হবে।

.