হাইকোর্টে আর্জি মঞ্জুর, আইনি লড়াইয়ের পাশে রথযাত্রা নিয়ে আইন অমান্য কর্মসূচি বিজেপির
অনুমতি পেতে আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি রাজ্যজুড়ে আইন অমান্য চলবে বিজেপির। সোমবার আরামবাগ থেকে আইন অমান্য শুরু করছে বিজেপি। থাকবেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: রথযাত্রার অনুমতি পেতে ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি। রথযাত্রা নিয়ে রাজ্যের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এবার বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ঘরে আর্জি। এদিকে, অনুমতি পেতে আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি রাজ্যজুড়ে আইন অমান্য চলবে বিজেপির। সোমবার আরামবাগ থেকে আইন অমান্য শুরু করছে বিজেপি। থাকবেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
আরও পড়ুন: বৈঠকে মিলল না অনুমতি, রথযাত্রা নিয়ে ফের বিজেপির মামলা হাইকোর্টে
বৈঠকে মেলেনি রফাসূত্র, রথযাত্রার অনুমতি দেয়নি রাজ্য । ফের রথযাত্রা মামলা গেল হাইকোর্টে। বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দারের ডিভিশন বেঞ্চের বদলে আর্জি এবার বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ঘরে। প্রসঙ্গত, রথযাত্রা নিয়ে রাজ্য সরকার ও বিজেপিকে বৈঠকের মাধ্যমে রফাসূত্র বার করার নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দারের ডিভিশন বেঞ্চ। নির্দেশ ছিল, রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও ডিজির সঙ্গে বৈঠকে বসতে বিজেপির তিন প্রতিনিধিকে। রথযাত্রা নিয়ে সিদ্ধান্ত আদালত রাজ্যের ঘাড়েই ঠেলেছিল বলে সেসময় বিশেষজ্ঞ মহল মনে করেছিল। আদালতের নির্দেশ মোতাবেক জয়প্রকাশ মজুমদার, মুকুল রায় ও প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় লালবাজারে রাজ্যের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। ছিলেন দিলীপ ঘোষও। এরপরই সূত্র মারফত শোনা যায়, শর্তসাপেক্ষে রথ যাত্রায় অনুমতি দিতে চলেছে রাজ্য সরকার। রথযাত্রার দিনক্ষণ নিয়ে অনড় মনোভাবাপন্ন ছিলেন দিলীপ ঘোষরা। পরে ফ্যাক্স মারফত রথযাত্রায় ‘না' জানিয়ে দেয় রাজ্য সরকার। তখনই ফের আদালতে যাওয়ার আভাস দিয়ে রেখেছিল বিজেপি। সোমবার তারা বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ঘরে আর্জি জানায়, তাদের আবেদন মঞ্জুর করেছেন বিচারপতি।
আরও পড়ুন: আগামী ২ দিন চলবে বৃষ্টি, বুধবার রাত থেকে জাঁকিয়ে শীতের সম্ভাবনা
এদিকে, আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি আইন অমান্য কর্মসূচি নিয়ে প্রশাসনকে চাপে রাখার কৌশল নিয়েছে গেরুয়া শিবির। মঙ্গলবার দিল্লিতে অমিত শাহর সঙ্গে বৈঠক রয়েছে বঙ্গ বিজেপি নেতাদের। লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে রণকৌশল কী হবে, তা ওইবৈঠকে নির্ধারিত হবে বলে সূত্রের খবর। রথযাত্রা নিয়ে রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হবে। সূত্রের খবর, বাংলায় সংগঠন মজবুত করতে ও ভবিষ্যত্ আন্দোলনের চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরি হবে এদিনের দিল্লি-বৈঠকে।