তৃণমূলে ফিরলেন হালিসহরের পুরপ্রধান, মুখ লুকাতে ব্যস্ত বিজেপি
এদিনের ঘটনাক্রম নিয়ে রক্ষণাত্মক ঢঙে দেখা যায় মুকুলকে। হালিসহরের পুরপ্রধানকে বিজেপিতে যোগদান করানো ভুল ছিল বলে স্বীকার করেন তিনি। বলেন, 'অর্জুন আমাকে বলেছিল ও বিশ্বস্ত নয়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যান অংশুমান রায়ের তৃণমূলে ফেরার পর অস্বস্তি সামাল দিতে মরিয়া বিজেপি। মঙ্গলবার এই নিয়ে দিল্লিতে নিজেদের ভুল স্বীকার করে নেন মুকুল ও অর্জুন। তবে এই পরিস্থিতির দায় মুকুলের ওপরেই চাপান অর্জুন।
মঙ্গলবার বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফেরেন হালিসহর পুরসভার চেয়ারম্যান অংশুমান রায়। তৃণমূলের দাবি, সঙ্গে ছিলেন আরও ৮ কাউন্সিলর। ফলে ২৩ আসনের হালিসহর পুরসভায় তৃণমূল বেড়ে হল ১২। যদিও অর্জুনের দাবি, এদিন চেয়ারম্যান সহ ৪ জন তৃণমূলে ফিরেছেন বলে দাবি করেছেন বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। তিনি বলেন, 'আমি আগেই জানতাম ও বেইমানি করবে। মুকুলদাকে বলেছিলাম। মুকুল দা ওকে বিশ্বাস করেছিল। কিন্তু যা হওয়ার তা হয়েছে।' অর্জুনের দাবি, 'এদিনের দলবদলের পরেও হালিসহর পুরসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ বিজেপি। দিন কয়েকের মধ্যেই অনাস্থা নেই অপসারণ করা হবে চেয়ারম্যানকে। তার পর গঠিত হবে নতুন পুরবোর্ড।'
হালিসহর পুরসভা পুনর্দখল তৃণমূলের, দলে ফিরলেন চেয়ারম্যান-সহ ১২ কাউন্সিলর
এদিনের ঘটনাক্রম নিয়ে রক্ষণাত্মক ঢঙে দেখা যায় মুকুলকে। হালিসহরের পুরপ্রধানকে বিজেপিতে যোগদান করানো ভুল ছিল বলে স্বীকার করেন তিনি। বলেন, 'অর্জুন আমাকে বলেছিল ও বিশ্বস্ত নয়। কিন্তু চেয়ারম্যান আমাকে এমন ভাবে এসে বলেছিল। বয়স হয়েছে, তাই এখন কেউ কিছু বললে বিশ্বাস করে ফেলি।'
তবে বিজেপিতে যোগদানকারী চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলররা তৃণমূলে ফেরায় স্বাভাবিক ভাবেই অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। লোকসভা নির্বাচনের পর মুকুল রায়ের হাত ধরে যেভাবে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদানের ঢল নেমেছিল তাতে আশঙ্কিত ছিলেন নেতৃত্বেরই একাংশ। দল বেঁধে নিয়ে গিয়ে একের পর এক যোগদান করাচ্ছিলেন মুকুল। যার মধ্যে অনেকের যোগদানের খবর বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কাছেও ছিল না বলে অভিযোগ। তবে দিন কয়েক আগে এই প্রবণতায় রাশ টেনেছে বিজেপি। এবার থেকে নেতৃত্ব স্তরে দলবদলের ক্ষেত্রে রাজ্য সভাপতির স্বীকৃতি বাধ্যতামূলক করেছে বিজেপি। কিন্তু ততক্ষণে নাক যা কাটা যাওয়ার তো গেছেই।