ফেসবুক লাইভে আত্মঘাতী বিজেপি কর্মী!
ফেসবুক লাইভে আত্মঘাতী বিজেপি কর্মী। আত্মঘাতী বিজেপি কর্মীর নাম অভিষেক চৌধুরী। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির হুগলির চুঁড়ুড়ায়। তবে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে যে, এই ঘটনার পিছনে কোনও রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব নেই। এটি স্থানীয় ক্লাবের বিবাদ। অভিযোগ, চুঁচুড়ার কেওটার 'আমরা কজন' ক্লাবের সম্পাদক কুণাল সরকার কয়েকদিন ধরেই বিজেপির হুগলি মণ্ডলের কর্মী অভিষেক চৌধুরীকে খুনের হুমকি দিচ্ছিল। গুলি করে হত্যার হুমকি দিচ্ছিল। সেই আতঙ্কে ভুগছিলেন অভিষেক। এরপরই সোমবার ভোরে ফেসবুক লাইভে এসে আত্মঘাতী হন অভিষেক চৌধুরী। ঘটনায় অভিযুক্ত স্থানীয় একটি ক্লাবের সম্পাদক। তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিস।
বিশ্বজিৎ সিংহ রায়: ফেসবুক লাইভে আত্মঘাতী বিজেপি কর্মী। আত্মঘাতী বিজেপি কর্মীর নাম অভিষেক চৌধুরী। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির হুগলির চুঁড়ুড়ায়। তবে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে যে, এই ঘটনার পিছনে কোনও রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব নেই। এটি স্থানীয় ক্লাবের বিবাদ। অভিযোগ, চুঁচুড়ার কেওটার 'আমরা কজন' ক্লাবের সম্পাদক কুণাল সরকার কয়েকদিন ধরেই বিজেপির হুগলি মণ্ডলের কর্মী অভিষেক চৌধুরীকে খুনের হুমকি দিচ্ছিল। গুলি করে হত্যার হুমকি দিচ্ছিল। সেই আতঙ্কে ভুগছিলেন অভিষেক। এরপরই সোমবার ভোরে ফেসবুক লাইভে এসে আত্মঘাতী হন অভিষেক চৌধুরী। ঘটনায় অভিযুক্ত স্থানীয় একটি ক্লাবের সম্পাদক। তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিস।
সোমবার ভোর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে চুঁচুড়া থানার ব্যান্ডেলের কেওটা মিলিটারি কলোনিতে। আত্মঘাতী বিজেপি কর্মীর নাম অভিষেক চৌধুরী (৩৫)। কেওটা মিলিটারি কলোনির বাসিন্দা অভিষেক পেশায় ছিলেন কল সারাইয়ের মিস্ত্রি। বিজেপির হুগলি মন্ডলের সক্রিয় কর্মী হিসাবে পরিচিত ছিলেন অভিষেক ওরফে ছোটকা। সোমবার ভোররাত সাড়ে ৪টে নাগাদ ঠিক কী ঘটেছিল? অভিষেকের শেষ ফেসবুক লাইভ থেকে দেখা যাচ্ছে, ঘরের মধ্যে রয়েছেন অভিষেক। অভিযোগ করেন, আমরা ক'জন ক্লাবের সম্পাদক তাঁকে হুমকি দিচ্ছেন তাঁর পরিবারের সবাইকে খুন করে দেবেন বলে। এরপরই নিজের ঘরে আত্মঘাতী হয় অভিষেক। সকালে অভিষেকের ঘর থেকেই তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
অভিযোগ, এর আগেও বিজেপি কর্মী অভিষেক চৌধুরী ক্লাবের কর্মকর্তা কুণাল সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন। প্রতিবেশীরা এই বিষয়ে জানিয়েছেন, এটা কোনও রাজনৈতিক ঘটনা নয়। বিজেপির তরফে এই ঘটনায় পুলিসের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে ঘটনাটি খতিয়ে দেখে দোষীদের শাস্তি দেওয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছে পুলিস। ঘটনার তদন্তে নেমে চুঁচুড়া থানার পুলিস অভিযুক্ত কুণাল সরকারকে গ্রেফতার করেছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই কুণাল সরকার কি তৃণমূল করে? এই প্রশ্নের উত্তরে চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, থানায় অভিযোগ হলে বিষয়টি পুলিস দেখবে। অভিযুক্ত কুণাল সরকারের সাথে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।
প্রসঙ্গত, জানা গিয়েছে যে, অভিষেক চৌধুরী চার মাস আগে বন্ধুদের সঙ্গে দীঘায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখানে সমুদ্রে স্নান করতে গিয়ে তাঁর পায়ে চোট লাগে। আর সেই কারণেই কাজকর্মহীন অবস্থায় বাড়িতে দিন কাটাতে হচ্ছিল তাঁকে। স্বাভাবিকভাবেই মানসিকভাবে একটু বিপর্যস্ত ছিলেন অভিষেক।