Singur Murder: পুলিসের জালে মূল অভিযুক্তের ভাই, কুকুর নিয়ে চলল তল্লাশি
ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ ফিঙ্গারপ্রিন্ট এক্সপার্টদের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: একই পরিবারের চার সদস্যকে নৃশংসভাবে খুন করল কে? সিঙ্গুরকাণ্ডে গ্রেফতার মূল অভিযুক্তের ভাই। খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রের সন্ধানে স্নিফার ডগ নিয়ে চালাল পুলিস। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করলেন ফিঙ্গারপ্রিন্ট এক্সপার্টরা।
ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার। সিঙ্গুরের নান্দাবাজার এলাকার দীর্ঘদিনের বাসিন্দা প্যাটেলরা। দোতলা বাড়িতে থাকতেন গৃহকর্তা মাওজি প্যাটেল, তাঁর ছেলে দীনেশ, দীনেশের স্ত্রী অনুসূয়া ও ছেলে ভাবুক। বাড়ির নিচে থাকেন বছর বাইশের এক যুবক। গতকাল সকালে ঠাকুর ঘরে মাওজি প্যাটেলকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। গুরুতর জখম অবস্থায় পাশাপাশি দুটি শোওয়ার ঘরে পড়েছিলেন দীনেশ, তাঁর স্ত্রী অনুসূয়া ও ছেলে ভাবিক। আর মেঝে চাপ চাপ রক্ত!
আরও পড়ুন: Nodakhali Blast: কেন এত তীব্র বিস্ফোরণ? কী ধরনের বিস্ফোরক মজুত ছিল? তদন্তভার নিচ্ছে NIA
খবর দেওয়া হয় সিঙ্গুর থানায়। প্যাটেল পরিবারের ৪ সদস্যকে উদ্ধার করে সিঙ্গুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে দীনেশ ও তাঁর স্ত্রীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। মাওজি প্যাটেল ও তাঁর নাতি ভাবিকের দেহে প্রাণ ছিল তখনও। পরে কলকাতায় এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওই দু'জনের। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল? পুলিস সূত্রে খবর, ঘটনার দিন ভোরে প্যাটেলদের বাড়িতে যান তাঁদেরই আত্মীয় যোগেশ ধাওয়ানী। প্রথমে কথা কাটাকাটি, তারপর পরিবারের চার সদস্যকে যোগেশ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপান বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গে চিতাবাঘ আতঙ্ক, শিকার ধরতে লোকালয়ে হাজির পশু!
মূল অভিযুক্ত যোগেশ ধাওয়ানী এখনও পলাতক। তবে তাঁর ভাই দীপককে গ্রেফতার করেছে পুলিস। এদিন স্নিফার ডগ নিয়ে ফের ঘটনাস্থলে যান তদন্তকারীরা। খুনের ব্যবহৃত অস্ত্রের সন্ধানে এলাকায় তল্লাশি চালান তাঁরা। ফিঙ্গারপ্রিন্ট এক্সপার্ট টিমের সদস্য শৈবাল দত্ত জানিয়েছেন, প্যাটেলদের বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সেই নমুনা পরীক্ষা করে গুরুত্বপূর্ণ সূত্র মিলতে পারে।