'রাজনৈতিকভাবে কেন দেখছেন Mamata'?, CAA ইস্যুতে Shantanu; পাল্টা TMC-র
কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তিতে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: 'বাংলায় হলে ভালো হত'। কেন্দ্রের তরফে পাঁচ রাজ্যে বসবাসকারী অ-মুসলিমদের নাগরিত্ব দেওয়ার বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিক্রিয়া বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের (Shantanu Thakur)। বললেন, 'উদ্বাস্তু সমস্যার কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে বাংলা'। 'এখানে করলে আন্দোলনে যাব', পাল্টা বনগাঁর প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর। তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা CAA নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। এই আইনের প্রতিবাদে আন্দোলন চলেছে দেশের সর্বত্রই। এবার সেই CAA হাতিয়ার করে অ-মুসলিমদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বিজ্ঞপ্তি করে জানিয়ে দিল, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং গুজরাট, রাজস্থান, ছত্তিসগড়, হরিয়ানা, পাঞ্জাবের মতো রাজ্যে বসবাসকারী অ-মুসলিমদের এদেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। অবিলম্বে তাঁদের আবেদন করার অনুরোধও জানানো হল।
আরও পড়ুন: ওড়িশা-গুজরাটে বিরোধী দলনেতাকে ডাকা হল না কেন? ফাঁকা চেয়ারের ছবি পরিকল্পিত: Mamata
বাংলা বাদ গেল কেন? বনগাঁ বিজেপি সাংসদ, গাইঘাটার ঠাকুরবাড়ির সদস্য শান্তনু ঠাকুরের সোজাসাপ্টা জবাব, 'সমস্ত মিডিয়ার মুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করা উচিত, কেন আপনি নাগরিকত্বের বিষয়টি রাজনৈতিক দিক থেকে দেখছেন? সহানুভূতির ভিত্তিতে দেখছেন না? ওপার থেকে অত্যাচারিত হয়ে এপারে এসেছে। আপনি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো মেনে রুল ফ্রেম করতে দিন। সবার আগে গন্ডগোল পাকাবে, রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি ধ্বংস করা হবে'। সঙ্গে যোগ করলেন, 'উদ্বাস্তু সমস্যার কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে বাংলা। বাংলায় হলে ভালোই হত। আমরা মৌখিক আবেদন করে রেখেছি। আশা করি, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব চিন্তাভাবনা করবেন'।
উল্টো সুর বনগাঁর প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ, ঠাকুরবাড়ির আর এক সদস্য মমতাবালা ঠাকুরের গলায়। তাঁর আবার অভিযোগ, 'দেশের বিভিন্ন প্রান্তে উদ্বাস্তু হিসেবে যাঁরা বসবাস করছেন, তাঁদের মধ্য়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য এই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কেন্দ্র'। দাবি করলেন, 'অসমে মতো পরিস্থিতি তৈরি করবে বলে বাংলায় করল না। জানে, এখন করলে আন্দোলন শুরু হবে। তাই ছোট ছোট করে কাজ করছে'। কিন্তু বাংলাতেও যদি নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়, তাহলে কী করব? মমতাবালার সাফ কথা, 'আন্দোলনে যাব'।