মিড-ডে মিলের নজরদারিতে হুগলির স্কুলে স্কুলে বসছে সিসিটিভি
মিড ডে মিলের খাবারের মান খতিয়ে দেখতে জেলাজুড়ে বুধবারই স্কুলে স্কুলে পরিদর্শনে যাবেন আধিকারিকরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন : জি ২৪ ঘণ্টার খবরের জের। মিড ডি মিল দুর্নীতি রুখতে সক্রিয় হুগলী জেলা প্রশাসন। শুধু চুঁচুড়ার বাণীমন্দির নয়। জেলাজুড়ে স্কুলে মিড-ডে মিলে নজর এখন কড়া নজর প্রশাসনের। আগামিকাল হুগলির ১০০০ স্কুল পরিদর্শন করবেন সরকারি আধিকারিকরা। পাশাপাশি জেলাশাসক জানিয়েছেন, বেশকিছু স্কুলে বসবে সিসিটিভিও।
বাণীমন্দির স্কুলে মিড মিলের খাবার নিয়ে জেলা জুড়ে হইচই। খবর পৌঁছয় জেলা শাসকের দফতরেও। এরপরেই বদলে যায় পরিস্থিতি। কিছুক্ষণের মধ্যেই স্কুলে পৌছন মহকুমা শাসক। মিড ডে মিলের খাবারের কেন এই দুরবস্থা এনিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসেন মহকুমা শাসক। এর কিছুক্ষণ পরেই স্কুলে হাজির ডিআই। তিনিও কথা বলেন স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। এরপর স্কুলে হাজির হয় চাইল্ড রাইটস কমিশনের প্রতিনিধিরা।
গোটা ঘটনায় উদ্বিগ্ন জেলা শাসক। মিড ডে মিলের খাবারের মান খতিয়ে দেখতে জেলাজুড়ে বুধবারই স্কুলে স্কুলে পরিদর্শনে যাবেন আধিকারিকরা। এমনটাই জানিয়েছেন জেলাশাসক। একইসঙ্গে জেলা শাসক জানিয়েছে বেশকিছু স্কুলে সিসিটিভিও বসানো হবে। মিড ডে মিলের উপর চলবে কড়া নজরদারি।
আরও পড়ুন, কাউন্সিলরের উদ্যোগে পৌঁছল ডিম-মশলা, চুঁচুঁড়ার স্কুলে খাওয়ার আগে বদলাল মিড-ডে মিলের মেনু!
উল্লেখ্য, আজও স্কুলবোর্ডে মিড-ডে মিলের মেনু হিসেবে লেখা হয়েছিল, 'ফেনাভাত-নুনভাত'। কিন্তু তারপর ব্যক্তিগত উদ্যোগে ডিম-মশলা কিনে নিয়ে স্কুলে পৌঁছন চেয়ারম্যান গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায়। ২৫০টি ডিম ও রান্নার জন্য প্রয়োজনীয় মশলা নিয়ে আসেন তিনি। ফের নতুন করে রান্না বসানো হয়। পড়ুয়াদের দেওয়ার ডন্য সেদ্ধ বসানো হয় ডিম। শেষমেশ মিড-ডে মিলের মেনু বদলে হয়, 'ফেনাভাত, ডিম, নুন।'