Dankuni Robbery: লুঠপাট করেই রাজ্যছাড়া; মোবাইল অফ, ওড়িশায় পাকড়াও ডানকুনিতে ডাকাতির পান্ডারা
চন্দননগর পুলিস সূত্রে খবর, ওই ডাকাত দলটি মূলত ব্যাংক ও সোনার দোকানে ডাকাতি করে। এর আগেও ছত্তীসগড়,বাংলা, বিহার, ওড়িশা ও তেলঙ্গনাতে একাধিক ডাকাতি করেছ
বিধান সরকার: ডাকাতি করে রাজ্য থেকে বেপাত্তা। ফোন পর্যন্ত ব্যবহার করত না। লোকাল বাসে চেপে পৌঁছে যেত ভিন রাজ্যে। এভাবেই চলছিল। তবে শেষপর্যন্ত বিহারের এরকম একটি গ্যাংয়ের ২ জনকে ধরে ফেলল চন্দননগর পুলিস। মোট ২৫ কেজি সোনার গহন লুট করেও শেষরক্ষা হল না। ওড়িশা-তেলঙ্গানা সীমান্ত থেকে ২ ডাকাত ধরা পড়ল চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিসের জালে। ধৃত কৃষ্ণা দাস ওরফ বেহেরা ও টেনিয়া চৌধুরীকে আজ শ্রীরামপুর আদালতে তুলছে পুলিস।
আরও পড়ুন-গো ব্যাক; রাজনীতি করবেন না, বোলপুরে লকেটকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের
গত ১৫ সেপ্টেম্বর ডানকুনির ডানকুনি টি এন মুখার্জি রোডে দিনেদুপুরে একটি জুয়েলারি শো রুমে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ক্রেতা সেজে সোনার দোকানে ঢোকে দুষ্কৃতীরা। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে নিরাপত্তারক্ষী-সহ দোকানের ক্রেতাদের একটা ঘরের মধ্যে আটকে রেখে সোনাদানা লুট করে। এই ঘটনা ধরা পড়ে দোকানের সিসিটিভি ক্যামেরায়। পুলিস দোকানের সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে ঘটনার তদন্ত শুরু করে। নাকা তল্লাশি চালিয়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হুগলি ও বাঁকুড়া সীমানায় গোঘাট থানার খাটুল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ৪ জনকে। তাদের কাছ থেকে বিপুল সোনার গহনা-সহ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। বাকী ২ দুষ্কৃতী পালিয়ে যায়। সেই দুজনের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে চন্দননগর পুলিস কমিশনারেটের গোয়েন্দারা।
বুধবার চন্দননগর পুলিস কমিশনার অমিত পি জাভালগি জানান, ঘটনায় মূল পান্ডা দুজনকে ওড়িশা ও তেলঙ্গানা সীমানায় বৌধ জেলার থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। লুট হওয়া ২৫ কেজি সোনা, প্লাটিনাম, হিরের গহনা উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি ২টি বাইকও উদ্ধার করেছে পুলিস। বিহারের বাসিন্দা হলেও ওই ২ জন ওড়িশা হয়ে দক্ষিণের রাজ্যে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। প্রথমে তারা বিহারে গিয়েছিল। পুলিস পেছনে লেগেছে বুঝতে পেরেই তারা উড়িশায় চলে যায়। সেখান থেকে বাসে চেপে পালানোর চেষ্টা করছিল। ডাকাতদের গতিবিধি জানতে পেরে গত পরশু চন্দননগর পুলিসের একটি দল রওনা দেয় তাদের ধরতে।
চন্দননগর পুলিস সূত্রে খবর, ওই ডাকাত দলটি মূলত ব্যাংক ও সোনার দোকানে ডাকাতি করে। এর আগেও ছত্তীসগড়,বাংলা, বিহার, ওড়িশা ও তেলঙ্গনাতে একাধিক ডাকাতি করেছে। পেশাদার এই ডাকাত দল অপরাধ সংগঠিত করার পর মোবাইল ফোন ব্যবহার করত না। গণ পরিবহন ব্যবহার করে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে যেত। সেই খবরকে কাজে লাগিয়ে দুই দুষ্কৃতীর নাগাল পেয়ে যায় চন্দননগর পুলিস। ডাকাতির ঘটনায় মোট ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হল।