MLA Asit Majumder: গোলমাল দেখেই গাড়ি দাঁড় করালেন বিধায়ক, কান ধরে ওঠবোস করালেন অভিযুক্ত যুবককে
MLA Asit Majumder বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, আমি দেখলান আমার পোলবা হাসপাতালের একজন স্টাফের উপরে ২-৩ জন মারমুখি অবস্থায় চড়াও হচ্ছে। গাড়ির চাবি পর্যন্ত নিয়ে নিয়েছে
বিধান সরকার: হেনস্থাকারীকে কান ধরে ওঠবোস করালেন খোদ বিধায়ক। হুগলির পোলবা হাসপাতালের এক স্বাস্থ্যকর্মীকে হেসন্থা করছিলেন এক যুবক। চোখে পড়ে যায় চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারের। সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নিলেন বিধায়ক। ভাইরাল সেই ভিডিয়ো। যদিও ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি জি ২৪ ঘণ্টা।
আরও পড়ুন- বুধ ও বৃহস্পতিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গের এইসব জেলায়, কবে বদল হবে আবহাওয়া?
মঙ্গলবার বিকেলে দিল্লির রোড দিয়ে রাজহাট হয়ে ব্যান্ডেল ফেরার সময় কাজিডাঙ্গার কাছে লক্ষ্য করেন কয়েকজন মিলে পোলবা হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী শুভজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায়কে হেনস্থা করছে। ওই জটলা দেখেই গাড়ি দাঁড় করিয়ে দেন অসিতবাবু। নেমে পড়েন গাড়ি থেকে। যারা হেনস্থা করছিল তারা অসিতবাবুকে দেখেই গা ঢাকা দেন। কিন্তু দাঁড়িয়ে থাকেন এক যুবক। বিধায়ক তাঁকে প্রবল বকাবকি করে কান ধরে ওঠবোস করান। ওই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায়।
পুলিসকে না ডেকে নিজেই আইন হাতে তুলে নিলেন বিধায়ক? নিন্দায় বিজেপি। হুগলি জেলা সংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, বিধায়ক যা করেছেন সেটা খুই নক্কারজনক ঘটনা। একসময়ে ওঁর মুখেই শোনা গিয়েছিল রাজ্যে আইন রয়েছে, পুলিস রয়েছে। সবই যখন রয়েছে তখন আইন কেন নিজের হাতে তুলে নিলেন? শাস্তিটা পুলিসই দিত!
পোলবা হাসপাতালের ওই স্বাস্থ্যকর্মী বলেন, কাজিডাঙ্গা থেকে নিউ কাজিডাঙ্গার মধ্য়ে তিনটে ছেলে আমাকে পেছন থেকে ডাকে। তারা আমাকে নিউ কাজিডাঙ্গায় দাঁড় করায়। একজন বলে, একটা থাপ্পড় মারব তোকে। কোথায় যাচ্ছিস? তোকে হাত দেখালাম, দাড়ালি না? আমি বললাম কে ভাই তুমি? ওই কথা শুনে আমাকে যতেচ্ছভাবে গালিগালাজ করতে থাকে। তার পরে যা হয়েছে তার জন্য বিধায়ক অসিত মজুমদারের কাছে কৃতজ্ঞ। এমন বিধায়ক যেন বাংলায় ২৯২ আসনেই থাকে। দিদির কাছে এই অনুরোধ করছি।
ওই ঘটনা নিয়ে বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, আমি দেখলান আমার পোলবা হাসপাতালের একজন স্টাফের উপরে ২-৩ জন মারমুখি অবস্থায় চড়াও হচ্ছে। গাড়ির চাবি পর্যন্ত নিয়ে নিয়েছে। ওই অবস্থা দেখে বললাম, তোমরা কেন ওই কাজ করছ? আমাকে চিনতে পেরে অনেকটা সংযত হয়। তারপর ওসিকে ফোন করছিলাম তুলিয়ে দেব বলে। কিন্তু ওর মা ও বাবা প্রায় পায়ে ধরে ক্ষমা চাইতে আরম্ভ করল। তখন ওকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য কান ধরে ওঠবোস করিয়েছি।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)