করোনা আর আমফান, দুই-এর ক্ষয়ক্ষতিতে দিশেহারা দিঘার ব্যবসায়ীরা
এই মুহূর্তে দিঘায় হোটেলের সংখ্যা ৬১১. পিক সিজনে দিনে কমবেশি ৭০ হাজার পর্যটক থাকেন।

নিজস্ব প্রতিবেদন: দু-মাস হয়ে গেল, ব্যবসা শিকেয়। করোনার আতঙ্ক কাটলে পর্যটকরা আবার আসবেন। এটুকুই আশা ছিল। ঘূর্ণিঝড় আবার সব হিসেব ওলটপালট করে দিল। দিঘার ব্যবসায়ীদের এখন মাথায় হাত। লকডাউনের পর আমপানের কামড়। সৈকত শহরের চারদিকে তাণ্ডবের চিহ্ন। চিন্তার ভাঁজ দিঘার হোটেল ব্যবসায়ীদের কপালে।
এই মুহূর্তে দিঘায় হোটেলের সংখ্যা ৬১১. পিক সিজনে দিনে কমবেশি ৭০ হাজার পর্যটক থাকেন। উত্সবের দিনে হোটেল-রেস্তোরাঁ মিলিয়ে ১ কোটি পনেরো লক্ষ টাকার ব্যবসা।হোটেলগুলিতে পিক সিজনে কর্মী সংখ্যা ৬২ হাজারের বেশি। আছেন আরও প্রায় ৫০ হাজার পর্যটক যাঁরা দিঘায় সকালে এসে রাতে ফিরে যান।
এমনিই লকডাউনের জন্য হোটেল বন্ধ। ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি বয়ে আনবে আরও ধাক্কা। দিঘায় রয়েছে প্রায় ১ হাজার দোকান। চলে প্রায় ৭০০ অটো-টোটো। ২০০ বাস। দিনে প্রায় ৬৫ হাজার মানুষের অন্ন সংস্থান করে সৈকত শহর দিঘা। হোটেল মালিকদের মতো চিন্তায় পরিবহণ ব্যবসায়ীরাও। দিঘার ব্যবসায়ীরা এখন ১৫ই অগাস্টের দিকে তাকিয়ে। আমপান সরাসরি দিঘায় আছড়ে পড়লে ক্ষতি আরও বেশি হতো। এখন এটুকুতেই আশার আলো দেখার চেষ্টায় তাঁরা।