রাজ্যে ফের ২ মহিলার শরীরে মিলল করোনার সংক্রমণ, আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১৭

রাজ্যে ফের ২ মহিলার শরীরে মিলল করোনার সংক্রমণ, আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১৭

Reported By: তন্ময় প্রামাণিক | Updated By: Mar 28, 2020, 10:43 PM IST
রাজ্যে ফের ২ মহিলার শরীরে মিলল করোনার সংক্রমণ, আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১৭

নিজস্ব প্রতিবেদন: ফের করোনার কোপে রাজ্য। এবার ঘটনাস্থল এগরা। এলাকায় ২ মহিলার শরীরে মিলল করোনার সংক্রমণ। ফলে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৭। স্বাস্থ্যভবন সূত্রের খবর, আক্রান্ত হয়েছেন ৭৬ বছরের এক বৃদ্ধা এবং ৫৬ বছরের এক প্রৌঢ়া। গতকালই নদিয়ার তেহট্টে ৫ জনের শরীরে মিলেছিল করোনার সংক্রমণ। আজ তালিকায় বাড়ল আরও ২। জানা গিয়েছে, আজ ৩৭ জনের রিপোর্ট আসে রাজ্যে। তাঁদের মধ্য়েই ২ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে।

নয়াবাদের বাসিন্দা ৬৬ বছরের বৃদ্ধ যে বিয়ে বাড়িতে গিয়েছিলেন সেখানেই এই দুই মহিলা ছিলেন বলেই স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর। বর্তমানে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালের নোবেল করোনায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছেন নয়াবাদের ওই বৃদ্ধ। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, পশ্চিম মেদিনীপুরের এগরায় একটি বিয়ে বাড়ি গিয়েই তাঁর শরীরে সংক্রমণ হয়েছিল। জানা যাচ্ছে, এগরার একটি হাসপাতালে ভর্তি আছেন দুই মহিলা। 

আরও পড়ুন: রাজ্যে একের পর এক থাবা বসাচ্ছে করোনা, উত্তরবঙ্গে ১ ব্যক্তির শরীরে মিলল সংক্রমণ

পাশাপাশি গতকাল জানা গিয়েছে বেপরোয়া মনোভাবের কারণেই খেসারত দিতে হয় তেহট্টের পরিবারকে। মাসুল দিচ্ছে ৯ মাস, ৬ বছর ও ১১ বছরের তিনটি শিশু। চিকিত্সকের পরামর্শ না মেনে করোনার সঙ্গে 'লুকোচুরি' খেলতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন একই পরিবারের ৫ জন। খবর আসে শুক্রবার সন্ধেয়। নদিয়ার তেহট্টে আক্রান্ত হয়েছেন একই পরিবারের ৫ জন। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর, ১৬ মার্চ পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দিল্লি গিয়েছিল ওই পরিবার। এক যুবক লন্ডন থেকে ফিরে অংশ নিয়েছিলেন সেখানে। দিল্লিতে অনুষ্ঠানেরই পর অসুস্থ হয়ে পড়েন লন্ডন ফেরত ওই যুবক। তাঁকে রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তাঁর নমুনা পরীক্ষায় মেলে নভেল ভাইরাস। গোটা পরিবারকে গৃহ পর্যবেক্ষণে থাকার নির্দেশ দেয় দিল্লির স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু সেই নির্দেশের তোয়াক্কাই করেনি তারা।  

দিল্লি থেকে ট্রেনে ২০ মার্চ রাজ্যে আসে ওই পরিবার। কলকাতা থেকে পরেরদিন পৌঁছয় তেহট্টে। ফের তেহট্টে একটি অনুষ্ঠানে সামিল হয় পরিবারটি। ২৩ মার্চ সকালে অসুস্থ হয়ে পড়েন ৪৭ বছরের এক মহিলা। দেখা দেয় সর্দিকাশি। স্থানীয় হাসাপাতালে যান। সন্দেহ হওয়ায় সেখানকার চিকিত্সকরা যোগাযোগ করেন স্বাস্থ্য ভবন ও বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। সেখানে তাঁকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। বাকি ১৩ জনকে পাঠানো হয় হোম কোয়ারান্টাইনে।  তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করা হয় বুধবার। পরপর পরীক্ষায় শুক্রবার নভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হদিস মেলে রিপোর্টে। এরপরই ২০ জনকে রাখা হয়েছে পর্যবেক্ষণে। 

উল্লেখ্য, এর আগে ২০ মার্চ লন্ডন থেকে ফেরা বালিগঞ্জের ওই তরুণের দেহে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। এর পরেই তার পরিবারের ১১ জন সদস্যের লালারসের নমুনা পাঠানো হয় পুনের নাইসেড-এ। করোনার কোপে ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন দমদমের এর প্রৌঢ়।

Tags:
.