ডালখোলায় উদ্ধার CPM নেতার রক্তাক্ত দেহ, খুনের অভিযোগ TMC-র বিরুদ্ধে
এলোপাথাড়ি কোপে খুন, প্রাথমিক অনুমান পুলিসের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কলকাতায় নবান্ন অভিযানে যোগ দিয়ে বামকর্মীর মৃত্যুতে যখন তোলপাড় চলছে রাজনৈতিক মহলে, তখন উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলায় ভুট্টাক্ষেতে মিলল সিপিএম নেতার রক্তাক্ত দেহ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান, মাথায় ধারালো অস্ত্রে কোপ মেরে খুন করা হয়েছে তাঁকে। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
মৃতের নাম মহম্মদ রফিক। বাড়ি, ডালখোলার রহতপুর এলাকায়। সিপিএমের গোয়ালতোর শাখার কমিটির সম্পাদক ছিলেন তিনি। পরিবারের লোকেদের দাবি, রবিবার রাতে বাড়িতে কাছেই বসেছিলেন রফিক। এরপর মোবাইলে একটি ফোনে আসে এবং বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান ওই সিপিএম নেতা। রাতে আর বাড়ি ফেরেননি। সোমবার সকালে ডালখোলার উত্তর পাতনোর এলাকায় পেট্রল পাম্পের পিছনে ভুট্টাক্ষেতে মহম্মদ রফিকের রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাটি জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে হাজির হন আশেপাশের বহু মানুষ। খবর পেয়ে চলে আসে পুলিসও। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।
আরও পড়ুন: বেলদায় TMC বুথ সভাপতিকে মারধর, BJP-র দাবি 'গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব'
সূত্রের খবর, মৃতের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ফলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন বলেই প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিস। সিপিএম-র উত্তর দিনাজপুর জেলা সম্পাদক অপূর্ব পালের অভিযোগ, দলের কর্মীর মহম্মদ রফিককে পরিকল্পনামাফিক খুন করেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই। অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতারের দাবি করেছেন তিনি। করণদিঘির বিধায়ক মনোদেব সিনহার পাল্টা প্রতিক্রিয়া, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। দুষ্কৃতীরা কোনও দলে হয় না। নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের চিহ্নিত করার দাবি তুলেছেন তিনিও।
আরও পড়ুন: নাম না করে বিধায়কের বিরুদ্ধে ফের পড়ল পোস্টার, এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে নবান্ন অভিযানে গুরুতর জখম হন DYFI কর্মী মইদুল ইসলাম মিদ্যা। এদিন সকালে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান তিনি। বামেদের দাবি, পুলিসে লাঠির আঘাতেই প্রাণ হারিয়েছেন মইদুল। এই ঘটনাকে ঘিরে রীতিমতো তোলপাড় চলছে রাজনৈতিক মহলে। নবান্ন অভিযানে এসে আবার নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে DYFI-র আরও এক কর্মী। পরিবারের লোকের অভিযোগ দায়ের করেছেন নিউ মার্কেট থানায়।