Keshpur: ফের উত্তপ্ত কেশপুর; সিপিএম পার্টি অফিসে ঢুকে বেধড়ক মারধর, জখম ৭
তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি বলেন, আমাদের কোনও কর্মী এই ঘটনার পেছনে নেই। কোথাও কোথাও সিপিএম-এ সিপিএম-এ গন্ডগোল হচ্ছে। আবার কোথাও সিপিএম-বিজেপিতে গন্ডগোল শুরু হয়েছে
চম্পক দত্ত: ফের উত্তপ্ত কেশপুর। ভাঙচুর করা হল সিপিএমের পার্টি অফিস। দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে সিপিএম কর্মীদের বেধড়ক মারধরের অভিযোগ শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনায় আহত ৭, গুরুতর আহত দুই সিপিএম কর্মীতে ভর্তি করা হল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সিপিএমের দাবি, রবিবার সন্ধ্যায় খেতুয়া পার্টি অফিসে বসে নভেম্বর বিপ্লব কর্মসূচির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বেশ কয়েকজন কর্মী। সেসময় এলাকার তৃণমূলের মিছিল থেকে পার্টি অফিসে হামলা চালানো হয়। পার্টি অফিস ভাঙচুরের পাশাপাশি বাঁশ লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় সিপিএম কর্মীদের। এমনটাই অভিযোগ সিপিএমের।
আরও পড়ুন-বাংলায় এখনও সেই ষাটের দশকের বোমা; সৌগতর মন্তব্যে তুঙ্গে তরজা
আহত ৭ সিপিএম কর্মীকে নিয়ে যাওয়া হয় কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। গুরুতর আহত অবস্থায় ২ জনকে নিয়ে আসা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। যদিও ঘটনায় তৃণমূল যোগের কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে শাসক শিবির। জেলা তৃণমূলের কো অর্ডিনেটর অজিত মাইতির দাবি, এই ঘটনার পিছনে দায়ী সিপিএমের গোষ্ঠীকোন্দল। গোটা ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই কেশপুরে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরির জন্যই এমন ঘটনা বলে দাবি সিপিএম নেতৃত্বের।
আহত এক সিপিএম কর্মী সুনীল বর্মন সংবাদমাধ্যমে বলেন, আমরা পার্টি অফিসে বসেছিলাম। সেইসময় তৃণমূলের একটি মিছিল হচ্ছিল। ওরা বাইকে এসে পার্টি অফিসে ঢুকে পড়ে। বাঁশ, লাঠি নিয়ে পার্টি অফিস ভাঙচুর করা হয়। তারপর আমাদের মারধর করা হয়।
ওই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি বলেন, আমাদের কোনও কর্মী এই ঘটনার পেছনে নেই। কোথাও কোথাও সিপিএম-এ সিপিএম-এ গন্ডগোল হচ্ছে। আবার কোথাও সিপিএম-বিজেপিতে গন্ডগোল শুরু হয়েছে। কারণ সিপিএমের যেসব কর্মী বিজেপিতে চলে গিয়েছিল তাদের ফেরত নেওয়ার চেষ্টা করছে সিপিএম। তাতেই দুই দলের মধ্যে মারামারি হচ্ছে। এটাই চলতে থাকবে।