মর্গে বাড়ছে ভিড়, স্থানীয়দের আপত্তিতে করোনা মৃতদেহ সৎকারে শ্মশান পাচ্ছে না Balurghat পুরসভা

 স্থানীয় মানুষের আপত্তিতে শহরের খিদিরপুর শ্মশানে মৃতদেহ সত্কার না করেই ফিরতে হচ্ছে পুর কর্তৃপক্ষকে।

Updated By: May 6, 2021, 08:02 PM IST
মর্গে বাড়ছে ভিড়, স্থানীয়দের আপত্তিতে করোনা মৃতদেহ সৎকারে শ্মশান পাচ্ছে না Balurghat পুরসভা

নিজস্ব প্রতিবেদন: গত বছর করোনায় মৃতদের দেহ সত্কার করতে গিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছিল স্থানীয় প্রশাসনকে। বহু শ্মশানে করোনায় মৃত ব্যক্তির দেহ সত্কারে বাধা দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেই একই অবস্থা এখনও চলছে বালুরঘাটেও। স্থানীয় মানুষের আপত্তিতে শহরের খিদিরপুর শ্মশানে মৃতদেহ সত্কার না করেই ফিরতে হচ্ছে পুর কর্তৃপক্ষকে।

আরও পড়ুন-কোভিডে মৃত জানতে পেরেই পালাল সত্কার কর্মী, আতঙ্কে অসহায় শ্মশানযাত্রীরা   

এদিকে, বালুরঘাট(Balurghat) সুপার স্পেশলিটি হাসপাতালের মর্গে জমছে কোভিড রোগীর মৃতদেহ। ফলে মৃতদেহ সংরক্ষণে জন্য খারাপ হয়ে থাকা ১২টি ফ্রিজার সংস্কারের কাজ শুরু করা হয়েছে বলে জানালেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা সুকুমার দে।

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় এ পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪৪ জনের। এর মধ্যে গত ৪৮ ঘন্টায় মৃত্যু হয় ৫ জনের। গত বছর মৃতদেহ সৎকারের সমস্যা হওয়ায়, এবারে রাজ্য পুর বিষয়ক দপ্তরের নির্দেশিকা জারি করা হয়, সংশ্লিষ্ট পুরসভাগুলিকে সত্কারের দায়িত্ব নিতে হবে। নির্দেশিকা অনুযায়ী, যে পুরসভা এলাকার বাসিন্দার করোনায় মৃত্যু হবে, ওই মৃতদেহের সৎকারের দায়িত্ব নেবে সংশ্লিষ্ট পুরসভায়।

আরও পড়ুন-মেদিনীপুরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়ে হামলা, লাঠি-বাঁশের আঘাতে চুরমার গাড়ি

ওই নির্দেশিকা অনুযায়ী বালুরঘাট পুরসভার খিদিরপুর শ্মশানের বৈদ্যুতিক চুল্লিতে মৃতদেহ(Covid Deadbody) সৎকারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। সেখানে কোভিড নিয়ম মেনেই সৎকার করা হবে বলে জানিয়েছিল প্রশাসন। কিন্তু এই উদ্যোগে এলাকার বাসিন্দারা প্রবল আপত্তি তোলে। থমকে যায় সৎকার প্রক্রিয়া।  এমনকি জেলা প্রশাসন, পুরসভা, জেলা স্বাস্থ্যকর্তারা এলাকায় গিয়ে বৈজ্ঞানিক যুক্তি দিয়ে মানুষকে বুঝিয়েও সমস্যার সমাধান করতে পারেননি।  ৪৮  ঘন্টা পর মৃতদেহে করোনা থাকে না বলে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর প্রচার চালালেও মানুষকে বোঝানো যায়নি।

বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে যত মৃতদেহ জমে রয়েছে, তার অর্ধেকই বালুরঘাট পুর এলাকার বাসিন্দা।  ফলে শ্মশানের অভাবে হাসপাতাল মর্গেই জমতে শুরু করেছে মৃতদেহগুলি। সেই মৃতদেহগুলি কোথায় ও কবে সৎকার করা যাবে তা নিযে চিন্তায় রয়েছে জেলা প্রশাসন।

.