Japaiguri: জলপাইগুড়িতে আত্মঘাতী সমাজকর্মী দম্পতি, এবার প্রাণনাশের হুমকি তাদের মেয়েকে
Japaiguri: তদন্তের অগ্রগতি জানতে কয়েকবার কোতোয়ালি থানায় আসেন বিধায়ক শিখা চ্যাটার্জি। শনিবার সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় মৃত দুই সমাজকর্মীর কন্যার চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট।
প্রদ্যুত্ দাস: ক্রমাগত প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে নিহত দুই সমাজকর্মীর মেয়েকে। এনিয়ে তিনি দ্বারস্থ হলেন জেলা পুলিস সুপারের। মৃত সমাজকর্মী দম্পত্তির মেয়ে এখন চাইছেন তাদের নিরাপত্তা দেওয়া হোক। তা না হলে তাদের মেরে ফেলা হতে পারে।
আরও পড়ুন-সিবিআই নজরে নলহাটির তৃণমূল নেতা, কে এই বিভাস অধিকারী?
গত ২ এপ্রিল জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান অপর্ণা ভট্টাচার্য ও তাঁর স্বামী সমাজকর্মী সুবোধ ভট্টাচার্যের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় তাদের নিজের বাড়িতেই। তার পর থেকে তাদের মেয়েকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এনিয়ে তিনি পুলিস সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাঁর দাবি, বাবা-মার মৃত্যুর নিরপেক্ষ তদন্ত হোক। যাদের প্ররোচনায় বাবা-মা আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন তাদের কঠোর শাস্তির দাবি করেন তিনি।
মর্মান্তিক এই মৃত্যুর ঘটনায় গোটা শহর জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ইতিমধ্যেই মৃত ব্যক্তিদের লেখা একটি সুইসাইড নোট পেয়ে পুলিসের হাতে তুলে দিয়েছেন মৃত সুবোধ ভট্টাচার্যের দিদি বিধায়ক শিখা চ্যাটার্জি। সেই নোটের সূত্র ধরে তিনি জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় কয়েকজনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্তের অগ্রগতি জানতে কয়েকবার কোতোয়ালি থানায় আসেন বিধায়ক শিখা চ্যাটার্জি। শনিবার সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় মৃত দুই সমাজকর্মীর কন্যার চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। অপরদিকে জেলা পুলিস সুপার এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, তানিয়া ভট্টাচার্যের লিখিত আবেদনের কথা জেনেছি, খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত জানতে হবে।
এদিকে এনিয়ে বিজেপি টাউন অবজার্ভার সৌজিত সিংহ বলেন, কারা এই মেয়েটিকে ভয় দেখাচ্ছে তা পুলিসের খোঁজ নিয়ে বের করা উচিত। দরকারে এনিয়ে মামলা করা উচিত। কারা সাক্ষীদের ভয় দেখাচ্ছে তা দেখা উচিত। থানা চুপ করে বসে আছে। নিরপেক্ষ সাক্ষীদের বক্তব্য উঠে আসছে না এই মামলায়।