৪৬ হাজার সশস্ত্র পুলিস দিয়ে নির্বাচন করানো সম্ভব নয়, ডিজিকে স্পষ্ট বার্তা কমিশনের
একদফায় ভোটের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় যে প্রশ্নটা উঠেছে, তা হল নিরাপত্তা। উল্লেখ্য, রাজ্য মোট পুলিসকর্মীর সংখ্যা ৫৮ হাজার। তারমধ্যে সশস্ত্র পুলিসকর্মীর সংখ্যা ৪৬ হাজার, বাকি লাঠিধারী।

নিজস্ব প্রতিবেদন: পঞ্চায়েত নির্বাচনের নিরাপত্তা ইস্যুতে নির্বাচন কমিশনার অমরেন্দ্রনাথ সিং-এর সঙ্গে বৈঠক সারলেন রাজ্য পুলিসের ডিজি সুরজিত্ করপুরকায়স্থ। সোমবার বিকালে প্রায় আধ ঘণ্টার বৈঠকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের নিরাপত্তায় রাজ্য পুলিসের তরফে ঠিক কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা নিয়েই আলোচনা হয়। ডিজি ছাড়াও বৈঠকে উপস্থিতি ছিলেন এজিডি, রাজ্য পুলিসের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করতে, কোন রাজ্য থেকে কত ফোর্স পশ্চিমবঙ্গে আনা হবে, কারা দফতর থেকে কত ফোর্স আনা হবে, সেসব বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য কমিশনকে দেন ডিজি।
আরও পড়ুন: বিচারপতির জ্বর, পিছিয়ে গেল পঞ্চায়েত মামলার শুনানি
একদফায় ভোটের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় যে প্রশ্নটা উঠেছে, তা হল নিরাপত্তা। উল্লেখ্য, রাজ্যে মোট পুলিসকর্মীর সংখ্যা ৫৮ হাজার। এরমধ্যে সশস্ত্র পুলিসকর্মীর সংখ্যা ৪৬ হাজার, বাকিরা লাঠিধারী। অন্য দিকে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যে মোট বুথের সংখ্যা ৫৮,৪৬৭টি। সেক্ষেত্রে, কমিশন রাজ্যের অতি স্পর্শকাতর বুথগুলিতে অত্যন্তপক্ষে ২ জন করে সশস্ত্র পুলিস মোতায়েন করতে চাইছে।
ইতিমধ্যে ২০,০৭৬ টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল। ফলে মনে করা হচ্ছে, প্রায় ৩৫,০০০ (কম-বেশি হতে পারে) বুথে নির্বাচন হবে। এই সংখ্যক বুথের মধ্যে অতিস্পর্শকাতর বুথগুলিতে ২ জন করে সশস্ত্র পুলিস মোতায়েন করতে চাইছে প্রশাসন। সেক্ষেত্রে রাজ্য পুলিসের তথ্য অনুসারে, ৪৬,০০০ সশস্ত্র পুলিস মোতায়েন করার কথা বলা হয়েছে। তবে কমিশনের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, রাজ্যে কেবল ৪৬,০০০ সশস্ত্র পুলিস দিয়ে নির্বাচন করানো সম্ভব নয়।
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্য পুলিস ও নির্বাচন কমিশন কী পদক্ষেপ করেছে, তা জানতে চেয়ে গত শুক্রবার রিপোর্ট তলব করেছেন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার। রিপোর্টে রাজ্য ও কমিশনকে বুথের সংখ্যা, সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য পৃথকভাবে আদালতকে জানাতে হবে। পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, ৪ মে রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই ভোটে আধাসেনা মোতায়েন নিয়ে আদালত নির্দেশিকা জারি করতে পারে।