Dhupguri Murder: সকাল ৯টায় স্বামীকে ফোন, তারপরই সন্তানকে খুন করে আত্মঘাতী স্ত্রী, ভয়ঙ্কর!
দুই সন্তানকে নিয়ে অঞ্জলি বাড়িতে একাই থাকতেন। স্বামী কাজের সুবাদে থাকেন কলকাতায়। দুই সন্তানকে কিছু খাইয়ে অথবা গলা টিপে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলার চেষ্টা।
নিজস্ব প্রতিবেদন : দুই সন্তানকে খুনের চেষ্টা করে আত্মঘাতী মা। মর্মান্তিক এই ঘটনায় এক সন্তানের মৃত্যু (Murder) হয়েছে। অপর সন্তান আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি (Dhupguri Murder) ব্লক পার্শ্ববর্তী ক্ষেতি ফুলবাড়ি ঘাটপার এলাকায়। মৃতার নাম অঞ্জলি মন্ডল।
জানা গিয়েছে, অঞ্জলি মন্ডল তাঁর এক মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে ঘাটপার এলাকায় নিজের বাড়িতেই থাকতেন। সোমবার দুপুরে অঞ্জলি মন্ডলের দিদিমা নমিতাবালা বিশ্বাস তাঁদের বাড়িতে আসেন। ঘরের দরজা বন্ধ দেখে ডাকাডাকি করেন। সেই মুহূর্তেই অঞ্জলি মন্ডলের ২ বছরের ছেলের গোঙানির আওয়াজ শুনতে পান তিনি। সঙ্গে সঙ্গেই নমিতাদেবীর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসেন। দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে তাঁরা ঝুলন্ত অবস্থায় অঞ্জলি মন্ডলকে দেখতে পান। সেইসঙ্গে তাঁর দুই সন্তানের 'অসাড় দেহ' বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন।
তড়িঘড়ি স্থানীয়রাই তাঁদেরকে উদ্ধার করে ধূপগুড়ি (Dhupguri Murder) গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে, সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক অঞ্জলি মন্ডল এবং তাঁর মেয়ে প্রিয়া মন্ডলকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্যদিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় অঞ্জলি মন্ডলের ছেলেকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন। নমিতা বালা বিশ্বাস জানিয়েছেন, অঞ্জলির স্বামী রঞ্জিত মন্ডল সাটারিং-এর কাজে কলকাতায় থাকেন। দুই সন্তানকে নিয়ে অঞ্জলি বাড়িতে একাই থাকতেন। তাই মাঝে মাঝেই দেখা করতে আসতেন তিনি। এদিনও দেখা করতে এসেছিলেন।
তিনি আরও জানান, এদিন সকাল ৯টা নাগাদ স্বামীর সঙ্গে অঞ্জলির ফোনে কথা হয়। হয়তো টাকা-পয়সা নিয়ে স্বামীর সঙ্গে বিবাদের জেরেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে অঞ্জলি। প্রতিবেশীরাও একই সন্দেহ করছেন। প্রাথমিকভাবে অনুমান, দুই সন্তানকে কিছু খাইয়ে অথবা গলা টিপে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলার চেষ্টা করেন অঞ্জলি। তারপর নিজেও আত্মঘাতী হন। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ধূপগুড়ি থানার পুলিস।
আরও পড়ুন, Deganga Murder: খেলতে গিয়ে ফেরেনি ৭ বছরের খুদে, ১৩ দিন পর বস্তাবন্দি ছেলের দেহ শনাক্ত করল হতভাগ্য মা
Summer 2022 Death: হাঁসফাঁস করতে করতে মৃত্যু আশাকর্মীর, রাজ্যে গরমের প্রথম বলি?