North Bengal Medical College: সুপার স্পেশাল্যাটি ব্লকই থ্রেট কালচারের 'আঁতুড়', সরব মেডিক্যাল কলেজের চিকিত্সকরা
উত্তরবঙ্গে মেডিক্যাল কলেজে তৈরি হয়েছে সুপার স্পেশাল্য়াটি ব্লক। সেখানে রোগী ভর্তি বা চিকিত্সা পরিষেবা অবশ্য শুরু হয়নি। অথচ চালু হয়ে গিয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিলের কার্যকলাপ। মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে খবর, খোদ রাজ্যের স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তার নির্দেশে সুপার স্পেশালিটি ব্লকে দুটি ঘরে দেওয়া হয় ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিলকে। কিন্তু করিডরের পাঁচটি রুমই এখন কাউন্সিলের দখলে!
নারায়ণ সিংহরায়: সুপার স্পেশাল্য়াটি ব্লকই 'থ্রেট কালচারে'র আতুঁড়ঘর? উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষকে স্মারকলিপি দিলেন চিকিত্সকরা। অধ্যক্ষ বললেন, 'উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আমরা পরবর্তী নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করছি'।
আরও পড়ুন: Anubrata Mandal: জামিন অনুব্রতের! এবার কি 'কারামুক্ত' কেষ্ট? পুজোর আগেই ফিরছেন বীরভূমে?
ঘটনাটি ঠিক কী? উত্তরবঙ্গে মেডিক্যাল কলেজে তৈরি হয়েছে সুপার স্পেশাল্য়াটি ব্লক। সেখানে রোগী ভর্তি বা চিকিত্সা পরিষেবা অবশ্য শুরু হয়নি। অথচ চালু হয়ে গিয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিলের কার্যকলাপ। মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে খবর, খোদ রাজ্যের স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তার নির্দেশে সুপার স্পেশালিটি ব্লকে দুটি ঘরে দেওয়া হয় ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিলকে। কিন্তু করিডরের পাঁচটি রুমই এখন কাউন্সিলের দখলে!
করিডরে ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিলে বোর্ড লাগানো। সবকটি ঘরই ফাঁকা ও তালাবন্ধ। আলাদা ঘর রয়েছে কাউন্সিলের সহ সভাপতি ডাক্তার সুশান্ত রায়েরও। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে সহকারী রেজিস্ট্রার স্বরূপ দত্ত জানালেন, 'কাউন্সিল একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যেখানে একটা অফিস হবে। যাতে এখানকার ডাক্তার ও চিকিৎসকদের সুবিধা হয়। কলকাতায় না গিয়ে এখানেই তাদের সমস্যার সমাধান করা যায়। সহ সভাপতি অনেকবারই এসেছেন , সভাপতি একবার এসেছেন'।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজেরমাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান চিকিত্সক অরূনাভ ঘোষ বলেন, 'ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিল একটা সুপার স্পেশালিটি ব্লকের পাঁচটা রুম দখল করে আছে! ওটা আমাদের একটা অরগানাইজেশান। আমরা টাকা দিই। প্রয়োজনে বাইরে জমি কিনে বিল্ডিং বানিয়ে দেওয়া যেত তাদের। মেডিক্যাল কলেজে জায়গার অভাব। রোগীদের সংখ্যা বেডের তুলনায় দ্বিগুণ! সেখানে থ্রেট কালচারের ভয়ে তাদের এতগুলি রুম দিয়ে দিলাম, এটা হতে পারে না'।
বিভাগীয় প্রধানের দাবি, 'অভিক দে বা সুশান্ত রায়রা রীতিমতো এখানে আসত। সুপার স্পেশালিটি ব্লকে থাকলে ওদের মার্কেটিংয়ে সুবিধে হবে৷ তাদের ক্ষমতা দেখাতে হবে৷ না হলেই বদলি। এমন অনেক ঘটনা। থ্রেট কালচারটাকে ওরা মার্কেটিংয়ের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে'।
নিউরো সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান চিকিত্সক র সজল কুমার বিশ্বাসের মতে, 'মেডিক্যাল কলেজের ক্যাম্পাসে এটা কখনই কাম্য নয়৷ এটা চলতে পারে না। এটা আমাদের স্বশাসিত সংস্থা, সরকারের তত্ত্বাবধানে। শুধুমাত্র সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল কেন! এটা ক্যাম্পাসেই থাকার কথা নয়। বাইরে থেকেও এই কাজ চালিয়ে যেতে পারে , কিন্তু এইখানে এই আঁতুরঘর গড়ে তুলতে দেওয়া যাবে না'।
আরও পড়ুন: Mobile game | Nadia: মোবাইল গেমের মারাত্মক নেশা, পড়তে বেরিয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রকে পাওয়া গেল...
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)