'বেশি খেলতে যেও না, শীতলকুচির খেলা খেলে দেব', বিতর্কিত মন্তব্য সায়ন্তনের
জলপাইগুড়ির ধুপগুড়িতে বিজেপি প্রার্থীর হয়ে প্রচারে এসে সায়ন্তন বসু বলেন, 'খেলা বেশি খেলতে যেও না, শীতলকুচির খেলা খেলে দেব।'
!['বেশি খেলতে যেও না, শীতলকুচির খেলা খেলে দেব', বিতর্কিত মন্তব্য সায়ন্তনের 'বেশি খেলতে যেও না, শীতলকুচির খেলা খেলে দেব', বিতর্কিত মন্তব্য সায়ন্তনের](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2021/04/12/315953-sayantan.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: 'আমি সায়ন্তন বসু বলে যাচ্ছি। বেশি খেলতে যেও না, শীতলকুচির খেলা খেলে দেব।' গতকাল দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের পর, আজ বিস্ফোরক সায়ন্তন বসু। শীতলকুচি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য বিজেপি নেতার। জলপাইগুড়ির ধুপগুড়িতে বিজেপি প্রার্থীর হয়ে প্রচারে এসে সায়ন্তন বসু বলেন, 'খেলা বেশি খেলতে যেও না, শীতলকুচির খেলা খেলে দেব।'
আরও পড়ুন: TMC-BJP সংঘর্ষে ফের বোমাবাজি নানুরে, আটক দু-দলের বেশ কয়েকজন
এদিন শীতলকুচির ঘটনা টেনে সায়ন্তনের মন্তব্য, 'সকাল বেলা আনন্দ বর্মনকে মেরে দিল। প্রথম ভোট দিতে গিয়েছিল। বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি, ৪ ঘণ্টার মধ্যেই ৪টে কে রাস্তা দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে। সোলের ডায়লগ উদ্ধৃতি টেনে তিনি বলেন, 'এক মারোগে তো চার মারেঙ্গে, শীতলকুচিতেও তাই হয়েছে।'
সায়ন্তনের মন্তব্য নিয়ে সরব তৃণমূল। তাপস রায়ের দাবি, এটি স্বৈরাচারী বক্তব্য। অবিলম্বে ব্যবস্থা নিক কমিশন। আত্মরক্ষার্থে গুলি নয়। খেলবার জন্য শীতলকুচি। স্পষ্ট করছেন সায়ন্তন বসুরা। মন্তব্য সুজনের।
গতকাল বরানগরে ভোট-প্রচারে এসে শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে দিলীপ ঘোষ। এর পরে পঞ্চম দফার ভোটের প্রসঙ্গে দিলীপ সংশ্লিষ্ট ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেন, '১৭ তারিখে ভোট দিতে যান, বাহিনী থাকবে। ভোট দিতে না পারলে আমরা আছি। শীতলকুচিতে কী হয়েছে দেখেছেন তো? বাড়াবাড়ি করলে জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে।'
প্রসঙ্গত, শনিবার চচতুর্থ দফা ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে সেখানে সকাল থেকেই উত্তেজনা ছড়ায়। প্রথমে ভোট দিয়ে এসে গুলিবিদ্ধ হয়ে আনন্দ বর্মন নামে এক যুবকের মৃত্য়ু হয়। এরপর মাথাভাঙা, বুথ নম্বর ১২৬, আমতলি মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রে কার্যত ধুন্ধুমার পরিস্থিতি হয়েছিল। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৪ জনের মৃত্যুর খবর আসে।
জানা গিয়েছে বুথ থেকে ৩০০ মিটার দূরে ঘটনাটি ঘটে। প্রথমে সেখানে এক দফা গন্ডগোল হয়। শূন্যে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে তা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এক ঘণ্টা পরে আবার ঝামেলা বাধে। ফের একটি দল চড়াও হয়। প্রথমে এক পুলিসকে মারধর করা হয়। এরপর প্রিসাইডিং অফিসারকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘিরে ফেলা হয় ফোর্সকে। তখনই বাহিনী গুলি চালায় বলে জানিয়েছেন এক জওয়ান অফিসার। আর এরপরই ঘটনা নিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর।