Duare Sarkar: পুজোর আগেই এবার দুয়ারে সরকার, মমতার ঘোষণা মতোই মিলবে এই প্রকল্পের সুবিধা!
Duare Sarkar একুশে জুলাইয়ের সমাবেশে কেন্দ্রকে একযোগে নিশানা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রকে বিঁধতে গিয়ে মমতা বলেন, বাংলার গরিব মানুষের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। একশো দিনের টাকা দেয়নি মোদী সরকার। ওরা টাকা না দিলেও আমরা আমাদের ক্ষমতা দিয়েছে রাজ্যের নিজস্ব একশো দিনের কাজ প্রকল্প শুরু করব
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বছরে প্রধানত দুবার দুয়ারে সরকার এর আয়োজন করে রাজ্য সরকার। এবার পঞ্চায়েত ভোট শেষ হয়েছে। ফের বিপুল জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় তৃণমূল কংগ্রেস। এবার ফের দুয়ারে সরকার শিবির অনুষ্ঠিত হবে জেলায়। সূত্রের খবর, এবার দুয়ারে সরকার হতে পারে সেপ্টেম্বরে। সেই শিবিরে মিলতে পারে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা মতো 'খেলা হবে' প্রকল্পের সুবিধে।
আরও পড়ুন-পঞ্চায়েতের গণনার দিন থেকেই নিখোঁজ আদিবাসী মহিলা, অবশেষে পচাগলা দেহ মিলল তিস্তার চরে
ধর্মতলায় একুশে জুলাইয়ের সমাবেশে কেন্দ্রকে একযোগে নিশানা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রকে বিঁধতে গিয়ে মমতা বলেন, বাংলার গরিব মানুষের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। একশো দিনের টাকা দেয়নি মোদী সরকার। ওরা টাকা না দিলেও আমরা আমাদের ক্ষমতা দিয়েছে রাজ্যের নিজস্ব একশো দিনের কাজ প্রকল্প শুরু করব। একশো দিনের কাজ বলা হলেও বছরে কাজ পাওয়া যায় ৪০-৫০ দিন। টাকা আমরা জোগাড় করেছি। রাজ্যের জব কার্ড হোল্ডারদের ওই কাজ দেওয়া হবে। আশা করছি ৪০-৪৫ দিনের কাজ তো দিতেই পারব। রাজ্যের ওই একশো দিনের কাজ প্রকল্পের নাম হবে 'খেলা হবে'।
সূত্রের খবর, এবার পুজোর আগেই দুয়ারে সরকার-এর শিবির বসতে পারে রাজ্যে। গতবছর দ্বিতীয় দুয়ারে সরকারের শিবির বসেছিল নভেম্বর মাসে। এবার সম্ভবত তা হতে পারে সেপ্টেম্বরেই। তবে এনিয়ে এখনও কোনও তারিখ ঠিক হয়নি। মনে করা হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা মতো 'খেলা হবে' প্রকল্পের সুবিধে পাওয়া যাবে ওই শিবিরে। একশো দিনের কাজের অধীনে থাকা আড়াই কোটি মানুষকে ওই প্রকল্পে অন্তর্ভূক্ত করা হতে পারে। পাশাপাশি থাকছে, কৃষক বন্ধু, লক্ষ্মীর ভান্ডার, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর মতো প্রকল্প। গতবার দুয়ারে সরকার প্রকল্পে সুবিধে পেয়েছিলেন এক কোটি মানুষ।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে হবে লোকসভা নির্বাচন। সেই দিকে তাকিয়েই ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দেশজুড়ে বিরোধীদের যে 'ইন্ডিয়া' জোট হয়েছে তার মধ্যমণি মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। একুশে জুলাই ধর্মতলার সমাবেশে তিনি যতটা না বিজেপির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন ততটা ছিলেন না সিপিএম ও কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। তাঁর স্পষ্ট কথা, বিজেপিকে হঠাতে না পারলে এই দেশ বাঁচবে না। দেশের গণতন্ত্র বাঁচবে না। সেদিক থেকে দেখতে গেল রাজ্য সরকার ঘোষিত সব প্রকল্পের সুবিধে রাজ্যের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করবে তৃণমূল কংগ্রেস। মনে করা হচ্ছে এবার দুয়ারে সরকারের প্রধান আকর্ষণই হবে খেলা হবে প্রকল্প।