Purba Bardhaman: টানা বিদ্যুৎহীন কালনার গ্রাম, DVC-এর জলে প্লাবিত গ্রামে বাড়ছে ক্ষোভ
ছ'দিন ধরে বিদ্যুৎহীনভাবেই জীবন কাটাচ্ছেন এলাকার বাসিন্দারা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রবল বৃষ্টিতে ভেসেছে কালনার একাধিক গ্রাম। নদীর গ্রাসে গিয়েছে একাধিক গ্রামের একাংশ। কিন্তু এরই মধ্যে শুরু হয়েছে চরম বিদ্যুৎ বিপর্যয়। নাগাড়ে বৃষ্টির পর জল ছেড়েছে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন। এর জেরে বিপর্যস্ত একাধিক এলাকা। ছ'দিন ধরে বিদ্যুৎহীনভাবেই জীবন কাটাচ্ছেন এলাকার বাসিন্দারা। বিদ্যুৎ অফিসে সমস্যার কথা জানিয়ে সমাধান না মেলায় ক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে কালনাবাসী।
অভিযোগ ডিভিসির ছাড়া জলে এগারো হাজার ভোল্টের তার ছিঁড়ে যাওয়ায় ছ দিন ধরে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে রয়েছে কালনার পূর্বস্থলীর দু নম্বর ব্লকের ঝাউডাঙ্গা পঞ্চায়েতের ঝাউডাঙ্গা এবং হালতাচড়া গ্রামের প্রায় দেড়শটি পরিবার। বিদ্যুতের তার ঠিক করার জন্য বিদ্যুৎ দফতরকে বার বার জানিও কোনো সুরাহা হয়নি বলেই তাঁদের অভিযোগ। এরপর সেই দফতরে গিয়ে বিক্ষোভও দেখায় গ্রামবাসীরা।
আরও পড়ুন, Santiniketan: Zee ২৪ ঘণ্টার খবরের জের, 'একঘরে' ৩ আদিবাসী পরিবারের পাশে পুলিস
টানা নিম্নচাপের জেরে ব্যাপক বৃষ্টির পর DVC ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার ফলেই এই বিপত্তি। আর তার জেরেই ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে ভাগীরথী নদী। ভেসেছে মাঠ, বাড়িঘর-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনার পূর্বস্থলীর ঝাউডাঙ্গা পঞ্চায়েতের অবস্থান থাকলেও জেলার ভূখণ্ডের সঙ্গে থেকে বিচ্ছিন্ন ভাগীরথী নদীর ঝাউডাঙা ও হালতাচড় গ্রামে বিদ্যুৎ এসেছে নদিয়ার বেথুয়াডহরি থেকে। সেখানেই বিপত্তি। এগারো হাজার ইলেকট্রিকের লাইনের যে পোল রয়েছে,সেই বিদ্যুতের তার জলে ঠেকতে আর কয়েক হাত বাকী. আর সেই কারণেই লাইন বন্ধ করে দিয়েছে বিদ্যুৎ দফতর, এমনটাই জানা গিয়েছে।
গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ আসার পর থেকেই প্রতি বছর বর্ষায় একই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় এই এলাকার মানুষদের, এমনটাই অভিযোগ। শুক্রবারই নদিয়ার বেথুয়াডহরিতে বিদ্যুৎ দফতরে বিক্ষোভ দেখায় হালতাচড়া এবং ঝাউডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দারা। এরপর এদিন শনিবার গ্রামে লাইন ঠিক করতে আসার কথা থাকলেও এদিন বেলা ১২ টা পর্যন্ত কোনো বিদ্যুৎ গ্রামে এসে পৌঁছয়নি। ফলে গ্রামবাসীরা ব্যাপক গরমে অসুবিধার মধ্যে পড়েছেন। বন্ধ হয়েছে অনলাইন পড়াশুনো।
গ্রামে বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইলে চার্জ দিতে না পারার কারণে বন্ধ হয়েছে। গ্রামে অনেকেই টোটো চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন, টোটোর চার্জ না থাকায় সেই টোটোগুলিও বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। পাশাপাশি তীব্র গরমে গ্রামের কয়েক'শ মানুষ ব্যাপক অসুবিধার মধ্যে রয়েছেন। অবিলম্বে গ্রামে বিদ্যুৎ ফিরুক, এমনটাই চাইছেন গ্রামবাসীরা।