রোজভ্যালি কাণ্ডে ফের তাপস-সুদীপ-কে তলব
রোজভ্যালি কাণ্ডে ফের দুই অভিযুক্ত তৃণমূল সাংসদ তাপস পাল ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
নিজেস্ব প্রতিবেদন: রোজভ্যালি কাণ্ডে ফের দুই অভিযুক্ত তৃণমূল সাংসদ তাপস পাল ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বৃহস্পতিবার কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ তাপস পালকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে ইডি। আর উত্তর কলকাতার তৃমমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে শুক্রবার।
আরও পড়ুন- চলে গেলেন রেকর্ড ভোটে জেতা সিপিএম সাংসদ অনিল বসু
প্রসঙ্গত, গত অগস্টেই রোজভ্যালি কাণ্ডে নতুন করে একটি মামলা দায়ের করেছিলএনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। রোজভ্যালি হোটেল, রোজভ্যালি এন্টারটেইনমেন্ট, রোজভ্যালি রিয়েল এস্টেট- এই ৩টি সংস্থার বিরুদ্ধেই আর্থিক তছরুপের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মোট ১৭ হাজার ৫২০ কোটি টাকা তছরুপ করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন- ভাড়াটিয়ার পরকীয়াতে আপত্তি জানিয়েছিল স্বামী, বিয়ের ২ মাসের মাথায় চুরমার সংসারের স্বপ্ন
তদন্তের স্বার্থে রোজভ্যালির এই তিন সংস্থার কর্তাকেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি। যার জন্য এই তিন সংস্থার বেশ কয়েকজন কর্তাকে সমন পাঠাতে চায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এই মর্মেই আদালতে আবেদন জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি।
আরও পড়ুন- পুকুর থেকে উদ্ধার বস্তাবন্দি সদ্যোজাতর দেহ!
লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই সারদা-নারদা ও রোজভ্যালি তদন্তের গতি বাড়িয়েছে সিবিআই ও ইডি। অন্যদিকে নারদ মামলায় ইতিমধ্যেই হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দিয়েছে সিবিআই। আগামী ৩ মাসের মধ্যে তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে বলেও আদালতকে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। পাশাপাশি, রোজভ্যালি তদন্তেও ফের নতুন করে গতি আনল ইডি।
১৯৯৭ সালে পশ্চিমবঙ্গে ব্যবসা শুরু করে রোজভ্যালি। অভিযোগ, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ও রেজিস্ট্রার অফ কোম্পানির অনুমোদন ছাড়াই দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে বাজার থেকে টাকা তুলেছে তারা। এমনকি সেবির গাইডলাইন ভেঙেও তোলা হয় টাকা। দক্ষিণ কলকাতা ও রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় প্রচুর সম্পত্তি রয়েছে রোজভ্যালির।