অভাবের তাড়নায় খেলা ছেড়ে দিনমজুরের কাজে সোনাজয়ী অ্যাথলিট ভাস্কর
প্রাইমারি স্কুল থেকে শুরু করে দশম শ্রেণি পর্যন্ত রাজ্যস্তরের বিভিন্ন প্রতিযোগীতায় প্রায় ১৫ টি সোনা রয়েছে তার ঝুলিতে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ১৫ বারের সোনাজয়ী অ্যাথলিট। এখন খেলা ছেড়ে সংসারের হাল ধরতে শুরু করেছেন দিনমজুরের কাজ। মালবাজার মহকুমার ক্রান্তি ব্লকের মৌলানি গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ মাটিয়ালির বাসিন্দা ভাস্কর রায়, অ্যাথলেটিক্সে মোট পনেরোটি সোনা জিতেছেন।
ছোটবেলা থেকেই ভাস্কর রায়ের খেলার প্রতি ভালবাসা ছিল। প্রাইমারি স্কুল থেকে শুরু করে দশম শ্রেণি পর্যন্ত রাজ্যস্তরের বিভিন্ন প্রতিযোগীতায় প্রায় ১৫ টি সোনা রয়েছে তার ঝুলিতে।
কিন্তু পরিস্থিতির সামনে হার মেনে ভাস্কর রায় সংসারের হাল ধরতে গিয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি পছন্দের শখ খেলাধুলা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন। সংসারের হাল ধরতে ভাস্কর দিনমজুরের কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। অনেকেই ভাস্করকে চিনলেও সাহায্যের হাত বাড়ায়নি কেউই।
ভাস্কর জানিয়েছেন, বোলবাড়ির নীলকান্ত পাল হাইস্কুলে, পড়ার সময় একাধিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় ভাস্কর। রাজ্য স্কুল অ্যাথলেটিক্স মিটে ডিসকাস ও শট পাটে ৮টি সোনা রয়েছে তার। ক্লাব স্টেট অ্যাথলেটিক্স মিটে রয়েছে ৬টি সোনা। অল বেঙ্গল ফেডারেশন কাপ অ্যাথলেটিক্স মিটে রাজ্যের সেরা অ্যাথলিট শিরোপা রয়েছে তার ঝুলিতে। ইস্ট জোন ন্যাশনাল অ্যাথলেটিক্স মিটে একবার সিলভার এবং একবার ব্রোঞ্জ পদক জেতেন তিনি। ২০১২ সালে ঝাড়খন্ডে অনুষ্ঠিত জুনিয়র ন্যাশনাল অ্যাথলেটিক্স মিটে চতুর্থ স্থান পান তিনি।
আরও পড়ুন: Malbazar: সরু রাস্তায় পৌঁছালনা দমকল, সম্পূর্ণ ভস্মীভূত বাড়ি
ভাস্কর রায়ের পরিবারে, বর্তমানে বাবা ও দাদা বৌদিকে নিয়ে সংসার। বাবা ও দাদার উপার্জন বেশি না হওয়ার কারণে দিনমজুরের কাজে নামতে হয়েছে ভাস্করকে।
ভাস্করের খেলার শিক্ষক রাজিব ভট্টাচার্য জানান তার ছাত্র ভাস্কর রায় খেলাধুলায় খুবই ভাল ছিল। পরিস্থিতির কারণে সে খেলাধুলা ছেড়ে দিয়েছে, যদি কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে, আবার তার পক্ষে খেলা শুরু করা সম্ভব।