শান্তিনিকেতন থেকে ফেরার পথে আচমকা সিঙ্গুরে রাজ্যপাল, সময় কাটালেন বিডিও অফিসে
সেইসময় বিডিও ও দুই জয়েন্ট বিডিও-র কেউই অফিসে উপস্থিত ছিলেন না। বিডিও ছুটিতে আছেন ও জয়েন্ট বিডিও মিটিংয়ে গিয়েছেন বলে জানান কর্মীরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন : শান্তিনিকেতন থেকে ফেরার পথে সিঙ্গুর ঘুরে দেখলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। শান্তিনিকেতন থেকে সড়কপথে কলকাতা আসার পথে বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ সিঙ্গুর বিডিও অফিসে পৌঁছন রাজ্যপাল। তবে সেইসময় বিডিও ও দুই জয়েন্ট বিডিও-র কেউই অফিসে উপস্থিত ছিলেন না। আধঘণ্টা বিডিও অফিসে ছিলেন রাজ্যপাল। তারপর সেখান থেকে বেরিয়ে যান তিনি।
বিশ্বভারতীর সমাবর্তন উৎসবে যোগ দিয়ে রাজভবন ফেরার পথে দুর্গাপুর হয়ে সিঙ্গুরে আসেন রাজ্যপাল। সিঙ্গুর বিডিও অফিসে গিয়ে বিডিও পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে বসেন তিনি। সেইসময় বিডিও ও দুই জয়েন্ট বিডিও-র কেউই অফিসে উপস্থিত ছিলেন না। বিডিও ছুটিতে আছেন ও জয়েন্ট বিডিও মিটিংয়ে গিয়েছেন বলে জানান কর্মীরা। তাঁরাই তাঁকে চা- স্ন্যাক্স দিয়ে অভ্যর্থনা জানান। সেইসময় বিডিও অফিসে কোনও সিনিয়র কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন না বলে জানা গিয়েছে।
সাড়ে ৪টে নাগাদ বিডিও অফিসে আসেন রাজ্যপাল। আধঘণ্টা সেখানে বসার পর বেরিয়ে যান জগদীপ ধনখড়। রাজ্যপাল সিঙ্গুরে আসার খবর পেয়ে বিডিও অফিসে হাজির হন কয়েকজন কৃষক। রাজ্যপালের কাছে তাঁরা সিঙ্গুরে কৃষি-শিল্পের সহবস্থানের দাবি জানান। সিঙ্গুরের কৃষকদের বক্তব্য শোনেন রাজ্যপাল। যদিও সিঙ্গুরের বিষয়ে রাজ্যপালকে কোনও মন্তব্য করতে এদিন শোনা যায়নি।
আরও পড়ুন, 'গরুর দুধে সোনা' মন্তব্যে সমালোচনা, ইসকনে গিয়ে গোমাতার কাছে ক্ষমা চাইলেন ব্যথিত দিলীপ
এদিন রাজ্যপালের সিঙ্গুরে আসার খবর পেয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতা, কর্মীদেরও তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসতে দেখা যায়। যদিও বিজেপির দাবি, তাঁরা সিঙ্গুরবাসীর হয়ে রাজ্যপালের কাছ দরবার করতে এসেছিলেন। প্রসঙ্গত, দিনকয়েক আগেই রাজ্যপালকে 'বিজেপির লোক' বলে তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী।