'কর্তব্যে গাফিলতি', সমাবর্তন ইস্যুতে পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে শোকজ আচার্য ধনখড়ের
কোচবিহারের পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন উৎসবের আমন্ত্রণপত্রে নাম না থাকায় বুধবার টুইটারে তোপ দাগেন রাজ্যপাল। যদিও আমন্ত্রণ না জানানোর অভিযোগ অস্বীকার করেন উপাচার্য দেবকুমার মুখোপাধ্যায়।


নিজস্ব প্রতিবেদন : সমাবর্তন ইস্যুতে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের পারদ আরও চড়ল। এবার কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে কোচবিহারের পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে শো-কজ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজভবনের তরফে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে উপাচার্য দেবকুমার মুখোপাধ্যায়কে শো-কজের বিষয়টি জানানো হয়েছে। শুধু শো-কজ নয়, তাঁকে অপসারণ করার বিষয়েও ভাবনাচিন্তা চলছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ। আচার্য ধনখড়ের শোকজ নোটিস রাজভবনের তরফে উপাচার্য দেবকুমার মুখোপাধ্যায় ও উচ্চশিক্ষা দফতরের প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি মণীশ জৈনকে পাঠানো হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, কোচবিহারের পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন উৎসবের আমন্ত্রণপত্রে নাম না থাকাকে কেন্দ্র করে বুধবার টুইটারে তোপ দাগেন আচার্য ধনখড়। রাজ্যপাল লেখেন, "১৪ ফেব্রুয়ারি কোচবিহারের পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন। মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, গৌতম দেব, রবীন্দ্র নাথ ঘোষ এবং বিনয় কৃষ্ণ বর্মনকে সমাবর্তনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আচার্য, যাঁর সভাপতি হওয়ার কথা, তাঁকেই জানানো হয়নি! এ আমরা কোথায় যাচ্ছি!"
আরও পড়ুন, 'প্রথমে চিঠি, তারপর রেলমন্ত্রীর নির্দেশে নবান্নে যান আধিকারিক', সাফ জানাল মেট্রো কর্তৃপক্ষ
আরও পড়ুন, দিল্লিকে সামনে রেখে দিলীপকে খোঁচা সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তের, তেড়ে জবাব বিজেপি রাজ্য সভাপতির
যদিও রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে আমন্ত্রণ না জানানোর অভিযোগ অস্বীকার করেন উপাচার্য দেবকুমার মুখোপাধ্যায়। তিনি পাল্টা দাবি করেন, "সম্পূর্ণ বিধি মেনে আচার্যকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল নির্দিষ্ট সময়। দীর্ঘদিন অপেক্ষা করার পর কোনও উত্তর না আসায়, আমরা বাধ্য হয়েছি তড়িঘড়ি আমন্ত্রণপত্র ছাপাতে। একারণে আমন্ত্রণপত্র ছাপাতেও দেরি হয়েছে। আমাদের তরফ থেকে কোনওরকম খামতি নেই। দুদিন পর সমাবর্তন অনুষ্ঠান। ওই অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল যদি আসেন, আমরা তাঁকে স্বাগত জানাব।"