সর্বোচ্চ ২৯০ মিলিমিটার! তুমুল বৃষ্টিতে ভাসছে উত্তরবঙ্গ, তিস্তায় হলুদ সতর্কবার্তা
আগামী ২৪ ঘণ্টাও চলবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি।
নিজস্ব প্রতিবেদন : পূর্বাভাস আগেই ছিল। আলিপুর আবহাওয়া দফতর আগেই জানিয়েছিল যে চলতি সপ্তাহে উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই পূর্বাভাস মিলে গেল। তুমুল বৃষ্টি উত্তরবঙ্গে। আর তার জেরে তিস্তায় দেখা দিয়েছে জলস্ফীতি। জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কবার্তা।
সিকিম পাহাড়ে অবিরাম বৃষ্টির জেরে তিস্তায় জলস্ফীতি দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে তিস্তার দোমহনী থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে উত্তরবঙ্গ বন্যা নিয়ন্ত্রণ দফতর। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই গজলডোবা তিস্তা ব্যারাজ থেকে ২২৩২.৬৮ কিউমেক জল ছাড়া হয়েছে।প্রসঙ্গত, জোড়া ঘূর্ণাবর্তের জেরে তুমুল বৃষ্টি হচ্ছে জলপাইগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, আগামী ২৪ ঘণ্টাও চলবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি।
উত্তর-পশ্চিম রাজস্থান থেকে দক্ষিণ বিহার পর্যন্ত তৈরি হয়েছে একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখার। পাশাপাশি দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে আরও একটি শক্তিশালী ঘূর্ণাবর্ত। এই জোড়া ঘূর্ণাবর্তের জেরেই আগামী ২৪ ঘণ্টা বজ্রবিদ্যুৎ সহ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি চলবে উত্তরবঙ্গে। শুধু যে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি হবে এমনটা নয়, সিকিমেও একইভাবে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। একনজরে গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ-
জলপাইগুড়ি- ১৭.৮০ মিলিমিটার
আলিপুর দুয়ার- ২৯০.৬০ মিলিমিটার
কোচবিহার- ২৬২.৬০ মিলিমিটার
শিলিগুড়ি- ১৯.০০ মিলিমিটার
মালবাজার- ৩০.৪০ মিলিমিটার
ময়নাগুড়ি- ৫৫.০০ মিলিমিটার
তুফানগঞ্জ- ২৩৫.৬০ মিলিমিটার
মাথাভাঙা - ১৬৬.৮০ মিলিমিটার
হাসিমারা- ৬৯.০০ মিলিমিটার
আরও পড়ুন, মিলে গেল পূর্বাভাস! বিকেল থেকে শুরু প্রবল ঝড়বৃষ্টি, বজ্রাঘাতে ৩ জনের মৃত্যু