Hili Border | Balurghat: হিলি সীমান্তে তোলাবাজির অভিযোগ, বালুরঘাটে বিক্ষোভ ট্রাক মালিকদের
হিলির আন্তর্জাতিক বহির্বাণিজ্য কেন্দ্র দিয়ে প্রতিদিন গড়ে দুশোরও বেশি মালবোঝাই লরি বাংলাদেশে যায়। সেই লরিগুলি থেকেই তোলাবাজি চালাচ্ছেন দক্ষিণ দিনাজপুরের আঞ্চলিক পরিবহন দফতরের কর্মীরা এমনটাই অভিযোগ। ঘটনার কথা জানিয়ে জেলাশাসককে লিখিত অভিযোগ জানানোর পরেও মঙ্গলবার বালুরঘাটে এসে সরাসরি অফিসে বিক্ষোভ দেখান দক্ষিণ দিনাজপুর ট্রাক ওনার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন।
শ্রীকান্ত ঠাকুর: হিলিতে তোলাবাজি করার অভিযোগে বালুরঘাট আরটিও ও এমভি আয়ের অফিসের বাইরে বিক্ষোভ দেখাল ট্রাক মালিকদের সংগঠন। দক্ষিণ দিনাজপুরের স্থল বন্দর হিলিতে পণ্যবাহী গাড়ি থেকে তিন হাজার টাকা করে তোলার অভিযোগ দক্ষিণ দিনাজপুরের আঞ্চলিক পরিবহন দপ্তরের বিরুদ্ধে। ঘটনার কথা জানিয়ে জেলাশাসককে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে ট্রাক ওনার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন। মঙ্গলবার গাড়ি মালিকরা সরাসরি বালুরঘাটে এসে পরিবহন আধিকারিকের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখান। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো হইচই পড়েছে গোটা জেলাতে। অভিযোগপত্র পেয়ে সুনির্দিষ্ট দফতরে বিষয়টি জানানো হয়েছে, বললেন জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা।
হিলির আন্তর্জাতিক বহির্বাণিজ্য কেন্দ্র দিয়ে প্রতিদিন গড়ে দুশোরও বেশি মালবোঝাই লরি বাংলাদেশে যায়। সেই লরিগুলি থেকেই তোলাবাজি চালাচ্ছেন দক্ষিণ দিনাজপুরের আঞ্চলিক পরিবহন দফতরের কর্মীরা এমনটাই অভিযোগ।
ঘটনার কথা জানিয়ে জেলাশাসককে লিখিত অভিযোগ জানানোর পরেও মঙ্গলবার বালুরঘাটে এসে সরাসরি অফিসে বিক্ষোভ দেখান দক্ষিণ দিনাজপুর ট্রাক ওনার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন।
আরও পড়ুন: Kaliaganj Police Station Fire: নাবালিকার রহস্য মৃত্যুতে ফুঁসছে কালিয়াগঞ্জ, থানায় আগুন উত্তেজিত জনতার
তাদের অভিযোগ, আমদানি-রফতানি ব্যবসায় স্লট বুকিং সিস্টেম চালু হবার পর থেকেই কিছুটা বেকায়দায় পড়েছেন লরি মালিকেরা। বিগত ছয় মাস ধরে তাদের ব্যবসা না থাকায় চরম দুরবস্থায় পড়ে অনেকেই ইতিমধ্যে লরি বিক্রি করে ফেলেছেন। সেইসব লরি চালকদের উপর যেন মরার উপর খাড়ার ঘা চাপিয়ে দিয়েছেন আরটিও ও এমভি আই।
তাদের অভিযোগ, মালবোঝাই প্রত্যেকটি লরির ক্ষেত্রে তিন হাজার টাকা এবং পাথরবোঝাই লরির ক্ষেত্রে ১২০০ টাকা করে তুলছে আরটিও ও এম ভি আই। যাদের দৌরাত্ম্যে লরি মালিকদের কার্যত নাভিশ্বাস উঠবার জোগাড়। যা দিতে অস্বীকার করলে মোটা অঙ্কের জরিমানাও করছেন ওই সরকারি আধিকারিক বলেও অভিযোগ।
আরটিও ও এমভি আয়ের এমন তোলাবাজি বন্ধ না হলে আগামী সময়ে লরি মালিকরা তাদের সমস্ত গাড়ির কাগজপত্র সরকারের কাছে তুলে দিয়ে ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার হুশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে সংগঠনের তরফে। মাসের পর মাস আর টিও ও এম ভি আয়ের এমন তোলাবাজি সীমান্ত এলাকায় অব্যাহত থাকলেও কেনই বা নিশ্চুপ রয়েছে প্রশাসন তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।
যদিও দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা জানিয়েছেন, আরটিওর বিরুদ্ধে এমন একটি লিখিত অভিযোগ তার কাছে জমা পড়েছে। ঘটনার তদন্তের জন্য ইতিমধ্যে বিষয়টি ট্রান্সপোর্ট ডিপার্টমেন্টকে জানানো হয়েছে। যারাই এই বিষয়টি দেখবেন এবং তার বিরুদ্ধে যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।