নন্দীগ্রামে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা, তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা
নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মীদের উপরে হামলা, বাড়ি-দোকান ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভোট পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত হয়েছে নন্দীগ্রাম (Nandigram)। শনিবার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গেলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ৪ সদস্যের দল। সেখানে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রতিনিধিরা। রাজ্যে তৃণমূল (TMC) 'ডবল সেঞ্চুরি' করলেও নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) হারিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে ভোটগণনায় কারচুপির অভিযোগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এই আবহে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের যাওয়া তাৎপর্যপূর্ণ বলে মত অনেকের।
নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মীদের উপরে হামলা, বাড়ি-দোকান ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। এ দিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব গোবিন্দ মোহন নেতৃত্বে ৪ প্রতিনিধির দল পৌঁছয় নন্দীগ্রামে। বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ হরিপুরে হেলিকপ্টার থেকে অবতরণ করেন তাঁরা। প্রথমে নন্দীগ্রামের দক্ষিণে মারি গ্রামে যান। সেখানে আক্রান্ত বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। এরপর নন্দীগ্রামে যে সব এলাকায় গন্ডগোল হয়েছে, সেগুলি ঘুরে দেখেন। অভিযোগ নথিবদ্ধ করেন প্রতিনিধিরা।
চলতি ভোটপর্বে নন্দীগ্রাম হয়ে উঠেছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। ভোটের ফলপ্রকাশের পরও শিরোনামে সেই নন্দীগ্রাম। ওই কেন্দ্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে জিতেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁকে কারচুপি করে হারানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন মমতা। তৃণমূল নেত্রীর অভিযোগ, ৪ ঘণ্টা ধরে সার্ভার বন্ধ ছিল। প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছিল রিটার্নিং অফিসারকে। অন্যদিকে, ভোটের ফলপ্রকাশের পর থেকে বিজেপি কর্মীদের উপরে মারধরের অভিযোগ করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের নন্দীগ্রামে যাওয়ার নেপথ্যেও রাজনীতি দেখছে তারা।
আরও পড়ুন- বিপর্যয়ের দায় নিয়ে পদত্যাগ? 'আজগুবি কথা, গল্প,' বললেন Biman